মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কুলাউড়া সরকারি কলেজে স্টাফ কাউন্সিলের সভায় শিক্ষকদের দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। এ সময় এক পক্ষ শিক্ষার্থীদের তাতে জড়ানোর চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে সভা স্থগিত হয়ে যায়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে ঘটে।
প্রভাষক প্রভাষক মানজুরুল হক জানান, কলেজের হল রুমে ষ্টাফ কাউন্সিলের মিটিং চলাকালে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমানের নির্দেশে কিছু ছাত্ররা কলেজের হলরুমে মিটিং চলাকালে উপস্থিত শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। এতে মহিলা শিক্ষকসহ শিক্ষকরা আতংকিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ আসলে হামলাকারীরা কলেজ ত্যাগ করে। কলেজের শিক্ষকরা জানান মশিউর রহমান, আবুল কালাম কলেজের বিভিন্ন কমিটিতে থাকাকালীন সময়ে নামে বেনামে বিভিন্ন ভুয়া বিল বাউচারে দেখিয়ে কলেজের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন, নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের পর থেকে কমিটি চেইঞ্জ হলে আত্মসাতের বিষয়টি বেরিয়ে আসে কলেজের শিক্ষকরা এই বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর তদন্তের জন্য অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার পর কলেজ হাসপাতাল অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মিলনায়তনে থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে কুলাউড়া থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
শিক্ষকেরা বলেন, সম্প্রতি কলেজে নতুন স্টাফ কাউন্সিল গঠিত হয়। এ কমিটি নিয়ে শিক্ষকদের দুটি পক্ষের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
কলেজের নব-গঠিত স্টাফ কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক ও কলেজের প্রভাষক মো. জমশেদ খান বলেন, আগের স্টাফ কাউন্সিলে দায়িত্বে থাকা কয়েক জন শিক্ষক নতুন কমিটি মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা বাইরে থেকে কিছু শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে সভা ভন্ডুল করে দেন।
তবে, আগের স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, সভায় হট্রগোল সৃষ্টি হলে এক শিক্ষক শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ওই শিক্ষককে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক কিছু শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে যান। তিনি কাউকে ডেকে আনেননি।
কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন খান বলেন, স্টাফ কাউন্সিলের সভায় শিক্ষকদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। তবে, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। সভা স্থগিত করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, কুলাউড়া সরকারি কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে অধ্যক্ষ জানান, বিষয়টি তাঁরা মিটমাট করে নিয়েছেন।