শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জাফলংয়ে পেটে চাকু মেরে নাড়িভুঁড়ি বের করে দিল সন্ত্রাসীরা, মৃত ভেবে পলাতক শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় তফসিল ঘোষণার পরই গণসংযোগে ব্যস্ত মইনুল বাকর রুল খারিজ, জোট করলেও নিজ দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে হবে : হাইকোর্ট সিলেটের যেসব এলাকার শুক্রবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ জামালগঞ্জে হাফিজিয়া নূরাণী কিন্ডারগার্টেনে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালগঞ্জে সারদা দেবীর জন্মতিথি উদ্‌যাপন সম্প্রীতির লড়াই: জামালগঞ্জে জমজমাট ভাইয়াপি কুস্তি একমঞ্চে জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি - ‘ধানের শীষই জাতির ঐক্যের প্রতীক’ — আনিসুল হক
advertisement
সিলেট বিভাগ

নীতিমালা তোয়াক্কা করেনি সিসিক

এখতিয়ার বর্হিভূতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ঘোষণা

১৮৯৭ সালের ১২ জুন। রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৩ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। যা ইতিহাসে 'গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক' বা 'বড় ভৈছাল' নামে পরিচিত। এর কেন্দ্রস্থল ছিল আসামের শিলং মালভূমি এলাকায়। ভয়াবহতার দিক থেকে আসাম এবং সিলেটের জন্য দিনটি ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। এই ভূমিকম্পে সিলেট ও আসাম অঞ্চলের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। বনভূমি ধ্বংসের ফলে ভারতের আসাম রাজ্যের কামরূপ জেলায় চান্দুবি হ্রদ তৈরি হয়েছিল। সিলেটে ইটের তৈরি প্রায় সবগুলো দালান ভেঙ্গে পড়ে। দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়। 

ভূমিকম্পে সিলেট ও আসামের দূরবর্তী কলকাতায়ও প্রভাব পড়ে। কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।   
শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও সেই বড় ভৈছালের কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে। কেননা, বিশেষজ্ঞদের মতে, শতাব্দি পেরিয়ে আবারো হতে পারে বড় ভূমিকম্প। আর এই ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট। যে কারণে সিলেট অঞ্চলকে ভূমিকম্পের রেড জোনে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে ওঠে আসে-ডাউকি ফল্ট, মধুপুর ফল্ট এবং ভূমিকম্পের টেকটানিক প্লেটের অবস্থানগন কারনে। মাত্র ৭ মাত্রার অধিক ভূমিকম্প হলে এর প্রভাবে সিলেট হতে পারে মৃত্যুপুরী। যে কারণে আগেবাগেই  সিলেট নগরবাসীকে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, সিলেট বিভাগে কোটি মানুষের বসবাস। আর ১০ লাখের অধিক মানুষের নগরীতে লক্ষাধিকের বেশি বহুতল ভবন রয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সিলেটকে ভূমিকম্পের রেড জোন বিবেচনায় নিলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় সরকার থেকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়নি। অথচ প্রবাসী সিলেটীদের বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের অর্থনীতিতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও এ অঞ্চলের প্রতি যেনো অবহেলা থেকেই গেছে। উন্নয়ন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই বঞ্চনার শিকার এই জনপদ।
 
 
বড় ভূমিকম্প হলে ভয়াবহতার শিকার হতে পারে সিলেট। তবুও টনক নড়ছে না দায়িত্বশীলদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরীতে অবস্থিত ভবনগুলো কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ সে বিষয়ে সিসিকের নেই কোন কার্যক্রম। এছাড়াও সিসিকের কার্যক্রমে শঙ্কা আরো বাড়ছে দিনে দিনে। ইতোমধ্যে সিসিক কর্র্তৃক ২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও অনুসরণ করা হয়নি কোন নীতিমালা। শুধুমাত্র চোখের দেখাতেই সিসিকের পক্ষ থেকে ২৪টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়াও লক্ষাধিকের অধিক ভবন থাকলেও ঝুঁকি নির্ণয়ে আজ পর্যন্ত নেয়া হয়নি দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ। যে ২৪টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে ভবণ ঘোষণা করার যে নীতিমালা বা কমিটি রয়েছে তাও অনুসরণ করা হয়নি। শুধুমাত্র চোঁখের দেখার (রেন্ডম ভিজ্যুয়াল সার্ভে) ওপর নির্ভর করে ২৪টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এতে করে সিসিক কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত ভবন মালিকরাও পড়েছেন বিপাকে। কেননা শুধুমাত্র নোটিশ দিয়েই সিসিক কর্তারা দায় সেরেছেন। কোন ভবন কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ তা স্পষ্ট করেননি।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল নগরীতে নির্মাণাধীণ ভবন সমূহের  ঝুঁকি নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সিসিক বরাবর পত্র দেয়।


এছাড়াও প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত ভবনসমূহের প্রকৃত ঝুঁকি নির্ণয়ের বিষয়েও ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং এসসেমেন্টের পরামর্শ দেয়। কিন্তু এসব বিষয়ে আজ পর্যন্ত সিসিকের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলস্বরূপ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত কোন ভবনের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সিসিক। কারন কোন ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে যে প্রক্রিয়া অনুসরন করা প্রয়োজন। 

সেই পথে হাটেনি  সিসিক কর্তারা। ফলে ঝুঁকির দায় মাথায় নিয়েই ১০ ধরে এখনো ভবন গুলোতে ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ভবন মালিকপক্ষ। তাদের দাবি সিসিকের পক্ষ থেকে অন্যায়ভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে কোন প্রকার সঠিক পরীক্ষণ চালানো হয়নি  ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে। ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীরা পুনঃরায় সঠিকভাবে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে ঝুঁকির মাত্রা নির্ণয়ের আহবান জানান।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, কোনো ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করার সিসিকের একক কোন এখতিয়ার নেই। কোনো ভবনকে পরিত্যাক্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে হলে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। যেখানে সরকারের একটি কম্পিটেন্ট অথোরিটি  মাধ্যমে যেতে হবে। সিসিকের একার পক্ষে একটি ভবনের প্রকৃত ঝুঁকি নির্ণয় করার সামর্থ এবং আইনি ভিত্তি নাই। সেজন্য সরকারের একটি সম্মিলিত কমিটি রয়েছে। আপনার ভবনের নিরাপত্তায় আপনাকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। অতীতে কি হয়েছে জানিনা। যেহেতু আমি দায়িত্বে আছি, তাই সিসিকের সর্বাত্বক সহযোগীতা নিশ্চিত করবো। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত ভবনগুলোর আপডেট প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলী আকবর বলেন, শাবিপ্রবি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল আমাদেরকে ৭টি ভবনের তালিকা দিয়েছে। যেগুলো তারা  পরিদর্শন করেছে। বাকি ভবনগুলো চোখের দেখা পর্যবেক্ষনে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে এ সংক্রান্ত  সিসিক কর্তৃক কমিটি গঠন করা হলেও কমিটি কোন প্রতিবেদন দেয়নি।


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন ড. জহির বিন আলম বলেন,  আমাদের পক্ষ থেকে সিসিকের আহবানে মোট ৭টি ভবন রেন্ডম ভিজ্যুয়াল সার্ভের (চোঁখের দেখা) মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। আমরা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিসিককে অবগত করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ হলেই যে  ভবনগুলোকে যে একদম ভেঙ্গে ফেলতে হবে তা নয়, সংস্কারের মাধ্যমে এই ভবনগুলো আবারো ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করে তাদের পরমর্শ কাজে লাগিয়ে নিয়ম মেনে সংস্কার করলে আশাকরি ভবনগুলো পুনঃরায় ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব। তবে কোন ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে অবশ্যই ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং এসেসমেন্টে প্রদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যা অনেকটা ব্যয়বহুল ।

সিটি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রজব বলেন, তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে  প্রায় ৩০০টির অধিক দোকান কোঠা রয়েছে। ২০১৬ সালে সিসিকের পক্ষ থেকে আমাদের ভবনটি ঝুকিঁপূর্ণ উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ চিটি ইস্যু করে। তাদের চিঠি পেয়ে ওই সময়ে সিসিকের প্রকৌশল বিভাগের কনসালটেন্ট প্রকৌ.বসন্ত কুমার সিনহা (বুয়েট) ভবনটি পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে ৩য় তলার  দুই পাশ থেকে ১৪ টি দোকান কোঠা অপসারণ করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে বসন্ত কুমার সিনহার নেতৃত্বে ওই  ১৪টি দোকান কোঠা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

এছাড়াও আজ অব্দী ভূমিকম্প বা অন্যকোনো দুর্যোগের কারনে আমাদের ভবনে কোন দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়নি। তারপরও বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যায় সিটি সুপারমার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপণ করা হয়। আমাদের দাবি র্কর্তৃপক্ষ আমাদের মার্কেট ভালো ভাবে পরিদর্শন করে যান । কোন ঝুঁিক থেকে থাকলে আমাদের কে অবগত করেন।

মিতালি ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ওলিউর রহমান চৌধুরী বলেন,  আমরা বিগত বৎসরে সিসিক থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, আমরা এর প্রতিবাদে তৎকালীন মেয়র কে বলেছিলাম, আমাদের মার্কেটটা যে ঝুঁকিপূর্ণ, এর স্বপক্ষে আপনাদের কাছে প্রমাণ কী? আপনি প্রমাণ করেন আমাদের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ভবন কী ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ। আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারলাম না, আমরা কি কারনে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবার ভূমিকম্প হলেই আমাদেরকে অদৃশ্য কারনে বলা হয় ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ ফায়ার সার্ভিসসহ একাধিক টিম আমাদের ভবনের সকল অংশ তন্নতন্ন করে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখেছেন। ভবনের কোথাও কোন ক্রটি দেখাতে পারেননি।

রাজা ম্যানশন ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জি.ডি রুমু জানান, প্রথমে আমরা কোভিডের পূর্বে নোটিশ পাই। আমাদের ভবনটি ৬ তলা ফাউন্ডেশন। ৩য় তলা পর্যন্ত ভবন রয়েছে। কোন অবস্থাতেই আমাদের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আমাদের ভবনের সামনের অংশের সিঁড়িতে কিছুটা ক্রটি ছিল। আমরা তা যথাযথ ভাবে মেরামতও করেছি। আমাদের সয়েল টেস্ট রিপোর্টও আমরা দিয়েছি এর আগে। কোন সমস্যা ধরা পড়েনি।  ফায়ার এক্সিট থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল সুবিধা রয়েছে এই ভবনে। 

সিসিকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা যথাযত মেরামত প্রক্রিয়া সমপন্ন করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ভবনের কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা ফাটল এমন কোন কিছু দৃশ্যমান হয়নি। যা এই ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভবনকে নিশ্চিত করবে। সিসিকের  রেফার করা প্রকৌশলী দিয়েই আমরা কাজ করিয়েছি। তবুও আজপর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহার করা হয়নি।

সমবায় ভবনের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম লস্কর বলেন, আমাদের এখানে কয়েকটি ভবন রয়েছে। বাস্তবে কোন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বা  কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ তা আমাদের কে কেউ নোটিশ করেনি। আজ পর্যন্ত আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগও করেনি আমরা কি পরিমানের ঝুঁকিতে রয়েছি। সিসিককে আমরা বলেছি, ওনারা যেনো পরিদর্শন করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ওরা বলে আপনি সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, ভবনে কোন সমস্যা নেই।

মধুবন সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২১ সালের বুয়েট এবং শাবিপ্রবির প্রকৌশলীরা এই ভবনে পরিদর্শন করেন। আমি যতটুকু জানি, আমাদের মার্কেট যেভাবে প্রকাশ করা হয় ততোটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে রেট্রোফিটিং (সংস্কার) করা হলে তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সিসিকের  কাছে আমরা রেট্রোফিটিংয়ের (সংস্কারের) জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সিসিক আমাদেরকে এখন পর্যন্ত কোনো অনুমোদন দেয়নি। সর্বশেষ আমাদের কে ২০২১ সালে নোটিশ দেয়া হয়েছিল, এরপর থেকে সিসিকের পক্ষে থেকে আমাদের সাথে আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

নগরীর দরগাহ গেইট এলাকার হোটেল আজমিরের সত্ত্বাধিকারী মো. হিরন মিয়া বলেন, সিসিক এসে পরিদর্শন করুক। করে দেখুক যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি  ঝুঁকিপূর্ণ কিনা। যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয় তারা আমাদের অবগত করুক। না হলে বার বার আমাদের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে। যা খুবই দুঃখজনক। আমারা সামাজিক মানসিক এবং অর্থনীতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাই এই দায় থেকে আমরা মুক্তি চাচ্ছি। আমাদের বিল্ডিং তৈরি পর থেকে কোন ঝুঁকি নেই। কিন্তু অদৃশ্য কারনে বারবার সিসিকের ঝুঁকি পূর্ণ ভবনের তালিকায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামটি আসছে। আমাদের ভবনটি ৬তলা অনুমোদন নেয়া এবং ৫ তলা কম্লিট। এছাড়াও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন ড. জহির বিন আলমের পরমর্শে আমরা সংস্কার করেছি। তবুও আমরা বারবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাই।

সুরমা মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি সাবির হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট ভাবে কোন অংশ বা কোন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ তা আমাদেরকে কখনো উল্লেখ করেনি। প্রায় ৪ বছর আগে সিসিক আমাদেরকে জানিয়েছিল, তা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে একটি সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য। সিসিকও আমাদের কে আর তাড়া দেয় নাই আর আমরাও আর গুরুত্বদেই নাই।

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ জার্নালিস্ট কমিশনের সভাপতি ফয়ছল আহমেদ বাবলু বলেন, ভূমিকম্প একটি স্পর্শকাতর বিষয়। সিলেট ভূমিকম্পে রেড অঞ্চলে। অথচ সিসিকের এমন অবহেলা মেনে নেয়া যায়না। সিসিকের উচিৎ সকলের সমন্বয়ে একটি সমাধানে যাওয়া। ভবনের প্রকৃত ঝুঁকি নির্ণয়ে প্রয়োজনে ভবন মালিকদেরকে উৎসাহিত করা। লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া। অন্যথায় এভাবে যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এই সম্পর্কিত আরো

জাফলংয়ে পেটে চাকু মেরে নাড়িভুঁড়ি বের করে দিল সন্ত্রাসীরা, মৃত ভেবে পলাতক

শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময়

শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

তফসিল ঘোষণার পরই গণসংযোগে ব্যস্ত মইনুল বাকর

রুল খারিজ, জোট করলেও নিজ দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে হবে : হাইকোর্ট

সিলেটের যেসব এলাকার শুক্রবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

জামালগঞ্জে হাফিজিয়া নূরাণী কিন্ডারগার্টেনে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জামালগঞ্জে সারদা দেবীর জন্মতিথি উদ্‌যাপন

সম্প্রীতির লড়াই: জামালগঞ্জে জমজমাট ভাইয়াপি কুস্তি

একমঞ্চে জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ‘ধানের শীষই জাতির ঐক্যের প্রতীক’ — আনিসুল হক