সুনামগঞ্জ-৪ আসনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক উপজেলা ও পৌরসভার চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বিএনপির বিদ্রোহী প্রাথী হওয়ার ইঙ্গিতে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সংসদীয় এই আসনটি সুনামগঞ্জ সদরের হওয়ায় বরাবরই থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফেসবুকে পোস্টসহ তাঁর ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে-আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেবেন জাকেরীন।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এ বিষয়ে আগামীকাল এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুনামগঞ্জের দুইটিসহ ৩৬ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল এর নাম ঘোষণা করেন। নুরুল ইসলাম নুরুল সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চারবারের চেয়ারম্যান, পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, সম্মানিত সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর- এর ভাই ও বন্ধুগন, দেশ যখন এক গভীর সংকট অতিক্রম করে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যখন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়--ঠিক তখনই বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা --সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুরবাসীকে দারুণভাবে হতাশ ও মর্মাহত করেছে।
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুরের সর্বস্তরের মানুষ, সকল শ্রেণি পেশা, সকল সম্প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠী, সুশীল সমাজ--যারা শান্তি, সম্প্রীতি, সুশাসন ও মানুষের মর্যাদা ভিত্তিক এক সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিল--এই মনোনয়ন তাদের অন্তরে এক কঠিন আঘাত হেনেছে।
আমি, দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, আপনাদের ভাই ও একজন অকৃত্রিম বন্ধু হিসাবে বিএনপি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন বুঝতে না পারলেও-আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে জীবনের বাকি দিনগুলোতে সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুরে শান্তি, সম্প্রীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত এক জনপদ গড়ার লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমি সেই লড়াইয়ের ঘোষণা দিতে চাই। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হেফাজতে রাখুন।