যশোর সেনা ক্যাম্পে কর্মরত অবস্থায় নিহত জামালগঞ্জের সেনা সদস্য কামরুল ইসলাম (২৪)-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হেলিকপ্টারযোগে তাঁর মরদেহ জামালগঞ্জ উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে আনা হয়। পরে সেনাবাহিনীর গাড়িযোগে মরদেহটি সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে তাঁর পিতার বাড়িতে পৌঁছানো হয়।
নিহত কামরুল ইসলাম চাঁনপুর গ্রামের হতদরিদ্র নুর হোসেনের বড় ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং চাকরিসূত্রে যশোর সেনা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শনিবার জানাজা শেষে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন করে। জানাজায় পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীন জানান, “কামরুল আমার ভাতিজা। তার বাবা নুর হোসেনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়। একটি সন্তান জন্ম নিয়েই মারা যায়। সেই শোক কাটতে না কাটতেই আজ কামরুলকেও হারাতে হলো।” তিনি আরও জানান, এই মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ জামালগঞ্জ হেলিপ্যাড মাঠে অবতরণ করে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পিতার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় এবং জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কামরুলের আয়ের ওপরই পুরো সংসার চলত। তাকে হারিয়ে পরিবারটি এখন চরম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। তার মৃত্যুতে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ গভীরভাবে শোকাহত।