ঘরের মাঠে সুবিধাজনক উইকেটে খেলে সাফল্য এবং পরে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ভরাডুবি–গল্পটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের বেশ পরিচিত। ২০২১ সালের কথাই ধরুন, সেবার অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের পরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছিল দলের।
এবারও এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মতো একেবারে ‘ ধ্যানখেত’-সুলভ উইকেট না হলেও রানের জন্য কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে দুই দলের ব্যাটারদের। উইকেট নিয়ে অভিযোগের সুরে কথা বলেছেন পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসনও।
সবমিলিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশ কি ফের বড় টুর্নামেন্টের আগে মেকি আত্মবিশ্বাস কুড়াচ্ছে। এর জবাবে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বার্তা, ‘আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য যেখানে সুযোগ পাবে, সেখানে খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। এখানে টিম ম্যানেজমেন্টেরও দায়িত্ব আছে। কোন কন্ডিশনে খেলে কতটুকু, কোন উইকেটে খেলে কতটুকু কীভাবে এগোবে, সেভাবে চিন্তা করতে হবে। তো আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের আগে ট্রু উইকেটে, স্পোর্টিং উইকেটে খেলে নিজেদের তৈরি করে যাওয়াটা উচিত হবে।’
মিরপুরে আজ ম্যাচ রেফারিদের ওয়ার্কশপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নান্নু আসন্ন এশিয়া কাপ নয়, বরং চোখ রেখেছেন আরও দূরে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত-শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজর রেখে সেভাবেই প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘সামনে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট না হওয়া পর্যন্ত বলা মুশকিল। ভালো কিছু পারফর্মার যদি পাওয়া যায়। এখানে অনেক ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টিতে আশানুরূপ না। কিছু কিছু ক্রিকেটারকে দেখার জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি হবে।’
‘কারণ, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরু হবে। এখানে ভালো পারফর্মার বের করে তাদের নিয়ে এগোতে হবে যেহেতু ছয় মাস হাতে পাওয়া যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য।কিছু খেলোয়াড়কে দেখার ও তৈরি করার সুযোগ আসবে নির্বাচকদের জন্য।’