তালেবান ক্ষমতায় বসার প্রায় ৩ বছর পর আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা নারী ক্রিকেটাররা ক্রিকেট মাঠে নামছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আফগানিস্তান উইমেন্স একাদশ ও ক্রিকেট উইথআউট বর্ডারস নামে দুই দলে ভাগ হয়ে প্রীতি ম্যাচটি খেলবেন তারা। আবারও আফগান নারীদের ক্রিকেটে ফেরার পথে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
পুরুষদের ক্রিকেটে আফগানিস্তান একটি প্রতিষ্ঠিত শক্তি। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে তারা। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে নারীদের সব ধরনের খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২০ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) অধীনে ২৫ জন চুক্তিবদ্ধ নারী ক্রিকেটার ছিল। তাদের বেশিরভাগই আগামীকাল খেলছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
আফগানিস্তান থেকে পালানোর পর পর দেশটির নারী ক্রিকেটারেরা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও মেলবোর্নে আশ্রয় নেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন তারা। আগামীকালের ম্যাচ ‘আফগানিস্তানের অধিকারবঞ্চিত লাখো নারীর প্রতিনিধিত্ব করবে’ বলে জানিয়েছেন আফগান নারী ক্রিকেটার ফিরোজা আমিরি।
মেয়েদের খেলাধুলায় সাহায্য করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রতি কৃতজ্ঞতাও আছে আফগান নারী ক্রিকেটারদের। আফগান নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাহিদা সপন বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে শুধু একটি দলই গড়ছি না, পরিবর্তন ও উন্নতির জন্যও এটা একটি পদক্ষেপ। সব আফগান নারীর জন্য মুহূর্তটি ঐতিহাসিক। এই ম্যাচ আফগান নারীদের শিক্ষা, খেলাধুলা ও ভবিষ্যতের দ্বার খুলতে পারে।’
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তালেবান শাসকগোষ্ঠী নারীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করার কারণে তাদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে অংশ নেয় না অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। যদিও আইসিসির টুর্নামেন্টে খেলে থাকে দলগুলো। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেও এসেছিল বয়কটের ডাক।