শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
খেলাধুলা

শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রথম জয়ের দেখা পেল ঢাকা ক্যাপিটালস

শোককে শক্তিতে পরিণত করে উড়তে থাকা রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে মাটিতে নামিয়ে আনলো ঢাকা ক্যাপিটালস। ৫ উইকেট হাতে রেখে এবং ৭ বল বাকি থাকতেই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় ঢাকা। তবে এই আনন্দের মুহূর্তটি দেখে যেতে পারলেন না দলটির সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি।


শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারায় ঢাকা ক্যাপিটালস। ইমাদ ওয়াসিমের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট শিকার করেন নাসির হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সালমান মির্জা। ব্যাট হাতে শেষের দৃঢ়তায় জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে রাজশাহী। ইনিংসের প্রথম বলেই সাহিবজাদা ফারহানকে হারায় তারা। এরপর তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও ঢাকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত আক্রমণে তা বড় হতে পারেনি। নাসির হোসেনের অফ স্পিনে তানজিদ আউট হন ১৫ বলে ২০ রান করে।


এরপর ইয়াসির আলী রাব্বিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থ হন। ইমাদ ওয়াসিমের বলে পুল করতে গিয়ে শামীম হোসেন পাটোয়ারির হাতে ক্যাচ দেন তিনি (১৫ বলে ১৩)। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত; ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি।

মুশফিকুর রহিম করেন ২৩ বলে ২৪ রান। শেষদিকে মোহাম্মদ নাওয়াজের দায়িত্বশীল ২৬ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ভর করে রাজশাহী নির্ধারিত ওভারে তোলে ১৩২ রান। ঢাকার হয়ে ইমাদ ওয়াসিম নেন ৩টি এবং নাসির হোসেন নেন ২টি উইকেট।

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাইফ হাসানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ঢাকা। তবে উসমান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৩৭ রানের জুটি দলকে ম্যাচে ফেরায়। উসমান ১৫ বলে ১৮ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন মামুন। হাফ-সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থেমে যান তিনি; ৪৫ রান করে আউট হন।

অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১২) ও নাসির হোসেন (১৯) বড় অবদান রাখতে না পারলেও শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ১৮ বলে ৩৬ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন তারা। সাব্বির ১০ বলে ২১ ও শামীম ১৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নাওয়াজ ছিলেন সবচেয়ে সফল। তিনি ২১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া তানজিম সাকিব ও সন্দীপ লামিচানে একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এই সম্পর্কিত আরো