অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইউটিউবকেও যুক্ত করেছে সরকার। এর আগে জনপ্রিয়তার কারণে ইউটিউবকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, ইউটিউবে ৩৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ক্ষতিকর কনটেন্ট দেখেছে—যা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে বেশি।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমাদের শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের পাশে আছি।’
এই নিষেধাজ্ঞা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এতে ১৬ বছরের কম বয়সিরা ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। তবে অভিভাবক বা শিক্ষকরা ভিডিও দেখাতে পারবেন।
ইউটিউব দাবি করেছে, তারা মূলত ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ইউটিউবেও ব্যবহারকারী প্রতিক্রিয়া ও অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কনটেন্ট সাজানো হয়, যা সোশ্যাল মিডিয়ার বৈশিষ্ট্য বহন করে।
নতুন সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ইউটিউবের মালিক প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের মধ্যে আইনি বিরোধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগেও এমন আইনি হুমকির মুখে অস্ট্রেলিয়ায় গুগল সেবা বন্ধের হুমকি দিয়েছিল অ্যালফাবেট।
তবে দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী আনিকা ওয়েলস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শিশুদের কল্যাণে নেওয়া পদক্ষেপে তিনি কোনো আইনি হুমকিতে ভয় পাবেন না।