দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাসভবনে প্রবেশের পর বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে দলের চেয়ারপারসন কিছুটা অসুস্থ। চিকিৎসকেরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আজ বেলা ১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়া ফিরোজায় পৌঁছানোর পর বেলা ২টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) এখন কিছুটা অসুস্থ। চিকিৎসকরা তাঁকে কমপক্ষে আট ঘণ্টা সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই কেউ এখানে স্লোগান দেবেন না, ভিড় করবেন না। দয়া করে আপনারা সবাই এখন যার যার বাড়িতে ফিরে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করছি, যেন এখানে কোনো গণ্ডগোল না হয়। পরে সময় হলে আপনাদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার জার্নি করে এসেছেন। যারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন, তাঁদের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বর্তমান সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাঁকে নিরাপদে বাসভবন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বিশেষ করে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য কাতার সরকারের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কাতার সরকার শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই দেয়নি, বিমানের সম্পূর্ণ খরচ বহন করা থেকে শুরু করে ওষুধ ও নার্সসহ যাবতীয় চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করেছে। খালেদা জিয়ার বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতার কারণেই কাতার সরকার এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে খালেদা জিয়া সুস্থভাবে ফিরোজায় পৌঁছেছেন। তবে দীর্ঘ যাত্রার কারণে তিনি কিছুটা ক্লান্ত।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জনসভায় যোগ দেওয়ার মতো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে কোনো শূন্যতা নেই। অনেকে বলেছিল, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তারেক জিয়ার কোমড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এক নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলতেন, ‘‘উনি এখনও যান না কেন?’ ’ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, তিনি চলে গেছেন, কিন্তু দেশনেত্রী এখনও রয়ে গেছেন।’