শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা - দুই কোটি টাকার কাজ ৫৭ লাখে বাগিয়ে নিলো সুবাস-মুজিব সিন্ডিকেট! ফ্রিল্যান্সিং থেকে এজেন্সি সফল ডিজিটাল মার্কেটার শিহাবুরের পথচলা ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ভীড় র‌্যাবের অভিযান: কোম্পানীগঞ্জ থেকে ২৪৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ২ সিলেটে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ মৃত‍্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতা লিটনের মুক্তির দাবিতে গোয়াইনঘাটে মানববন্ধন সিকৃবিতে কাজ শেষ হবার আগেই ভেঙে পড়লো ড্রেনের গার্ডওয়াল ইউপিজি লিডারশীপ প্রোগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ায় বিজয়ী শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রাজু সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাবের ১২তম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা সুপা’র নতুন সভাপতি রুবাইয়া, সাধারণ সম্পাদক সাবের
advertisement
রাজনীতি

শ্রমিক সমাবেশে তারেক রহমান

করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে সংসদ থেকে

সবুজ সিলেট ডেস্ক
‘করিডর’ দেওয়া না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। মহান মে দিবসে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে


তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না-দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’

দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট, বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখন প্রতিদিন সংস্কার নিয়ে শোরগোল চলছে। গণমাধ্যমের খবর কিংবা টেলিভিশনের টক শো—সবখানেই সংস্কার নিয়ে আলোচনা। কিন্তু সংস্কারের এত কর্মযজ্ঞের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর কোথায়। কৃষক-শ্রমিকেরা গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাহলে তাঁরা কোথায় কার কাছে কীভাবে তাঁদের সমস্যা-সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরবেন? কে তাঁদের প্রতিনিধি?


তারেক রহমান বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা, সমস্যা-সম্ভাবনার কথা যাতে রাষ্ট্র এবং সরকারের কানে পৌঁছায়, সে জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, নির্বাচিত জাতীয় সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। কারণ, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি, নির্বাচিত সরকার অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে বাধ্য। তিনি বলেন, সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে বিএনপি সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সংলাপ করছে। পাশাপাশি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করছে। রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য যেমন সংস্কার প্রয়োজন, তেমনি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন নির্বাচন।

নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার আহ্বান

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধ উসকে দিতে চায় বলেও শ্রমিক সমাবেশে অভিযোগ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে সংস্কার ও নির্বাচন উভয়টি প্রয়োজন।


সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই সমাবেশ থেকে আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও পথনকশা সুস্পষ্ট করা হলে জনমনের সন্দেহ-সংশয় কেটে যাবে।

শ্রমিক সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে। তবে গণতন্ত্রকামী জনগণ মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখা যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট কিংবা স্বৈরাচার হওয়ার মন্ত্র দেশের সংবিধান কিংবা দেশের আইনে লেখা থাকে না; বরং সংবিধান ও আইন না মানার কারণে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়।

বিনা ভোটে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সুপ্ত ভাবনা যেন রাষ্ট্র ও সরকারকে ফ্যাসিবাদের প্রতি প্রলুব্ধ করতে না পারে, সে জন্যই জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা দরকার বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।


রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহেলা নয়

বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনো চুক্তি না করতে এই শ্রমিক সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইগনোর (অবজ্ঞা) করে, অবহেলা করে, জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাস করছি।...এখন পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটাতে পারিনি। এখন পর্যন্ত আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা, জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমাদের সরকার গঠন করব, পার্লামেন্ট (সংসদ) গঠন করব, সেটা কিন্তু এখনো গঠন করতে পারিনি।’

সংস্কার বিএনপির ‘সন্তান’—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেগুলোতে একমত হবে না, তা পরবর্তী পার্লামেন্টে পাস করানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

‘গাছের গোড়ায় পানি দিয়েছি আমরা, ফল খেয়েছেন আপনারা’

বিএনপি গত ১৭ বছর কী করেছে, এমন প্রশ্ন যারা তুলছে, তাদের উদ্দেশে শ্রমিক সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আরে, ১৭ বছর আমরা গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে গোড়া নরম করেছি, সেই গাছের আগায় বসে আপনারা ফল খেয়েছেন।...দুই দিনেই হাসিনার পতন হয়ে যায় নাই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপিকে শুনতে হয় ১৭ বছরে কোনো কিছুই করে নাই। কেউ কি বলতে পারবেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেলে যায়নি? এমনকি তারেক রহমান (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) পর্যন্ত জেলে ছিল। আশ্চর্য হতে হয় কিছু কিছু ছেলে বলে ১৭ বছর বিএনপি কী করছে। এটা যারা বলে তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করে। তারা বিএনপিকে ক্রেডিট (কৃতিত্ব) দিতে চায় না।’

মির্জা আব্বাস বলেন, একা একা ক্রেডিট নিতে গিয়ে দেশটাকে ধ্বংস করবেন না। সামনে দেশের দুর্দিন মারাত্মকভাবে এগিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, একটু খেয়াল রাখা দরকার। আমি যা বলেছি, আবার বলছি ফ্যাসিস্ট তাড়াতে গিয়ে আমরা আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, সেটা খেয়াল রাখবেন। আমরা বলতে কেবল বিএনপির কথা বলি নাই। সবার কথা বলছি আমি।’

অনৈক্য দেশটাকে শেষ করে দেবে—এমনটি উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, একেক জন একেক কথা বলছে, কেউ কারও কথা মানছে না।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, মানবিক করিডর দিতে গিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে।

 

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল গতকাল বেলা দুইটায়।কিন্তু এর আগেই সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অনেকের মাথায় ছিল লাল ক্যাপ (টুপি)। অনেকে আবার মাথায় লাল ফিতা বেঁধে ছিলেন। নারী কর্মীদের অনেকে এসেছিলেন লাল শাড়ি পরে।

সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ লাল টি–শার্ট পরে এসেছিলেন। সমাবেশে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’; ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও, লড়াই করো’—এ রকম বিভিন্ন স্লোগান ওঠে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের মতো করে স্লোগান দেন কর্মীরা।

ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলার হাজারো শ্রমিক এই সমাবেশে অংশ নেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ছাপিয়ে আশপাশের সড়কেও এই সমাবেশ বিস্তৃত ছিল। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত পুরো সড়ক জুড়ে ছিলেন নেতা-কর্মীরা। বিশাল জমায়েতের কারণে নয়াপল্টন ও আশপাশের সড়কে দুপুরের আগেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। সমাবেশ শুরুর আগে মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান প্রমুখ। এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন। সঞ্চালক ছিলেন শ্রমিক দলের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম। 

এই সম্পর্কিত আরো

ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দুই কোটি টাকার কাজ ৫৭ লাখে বাগিয়ে নিলো সুবাস-মুজিব সিন্ডিকেট!

ফ্রিল্যান্সিং থেকে এজেন্সি সফল ডিজিটাল মার্কেটার শিহাবুরের পথচলা

ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ভীড়

র‌্যাবের অভিযান: কোম্পানীগঞ্জ থেকে ২৪৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ২

সিলেটে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

মৃত‍্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতা লিটনের মুক্তির দাবিতে গোয়াইনঘাটে মানববন্ধন

সিকৃবিতে কাজ শেষ হবার আগেই ভেঙে পড়লো ড্রেনের গার্ডওয়াল

ইউপিজি লিডারশীপ প্রোগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ায় বিজয়ী শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রাজু

সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাবের ১২তম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা

সুপা’র নতুন সভাপতি রুবাইয়া, সাধারণ সম্পাদক সাবের