বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
২০ তরুণের কর্মসংস্থান ও শত তরুণের স্বপ্নসারথী জসিম উদ্দিন জৈন্তাপুরে বিএনপি নেতা জামান - টার্গেট কিলিং ও ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না, প্রতিহত করা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া পরবর্তী সংসদে নির্ধারণ : অ্যাটর্নি জেনারেল দুই বিদেশি কোম্পানিকে ১০ বছর করমুক্ত সুবিধা ডলারের দাম বাড়ায় কমেছে স্বর্ণের দাম ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩৫০ ছাড়াল প্রতিদিন মিলবে পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস - কৈলাশটিলার পুরনো কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধ্যান মুশফিক-লিটনের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ৪৭৬ সুনামগঞ্জ ১ আসনে মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত মনোনয়নে মূল্যায়নের দাবিতে গণ মিছিল অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাকিবকে দুদকে তলব
advertisement
রাজনীতি

নির্বাচনে ইসি থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি বিএনপির

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসি-ইউএনওদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এসব দায়িত্বে রাখার দাবি উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ডিসি-ইউএনওরাই সেই দায়িত্বে ছিলেন।

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ইসির কর্মকর্তাদের জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি আগেও ছিল। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপে ইসি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাল বিএনপি।

সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দেশ একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। এই সময়ে ইসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ কমিশনারের দায়িত্ব বিশাল। নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সম্পন্ন করতে হয়। তাই ম্যানপাওয়ারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা আবশ্যক। নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভাড়া করে নিয়ে আসেন। আপনাদের যতটুকু লোকবল আছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করুন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল থেকে দেওয়ার দাবি জানাই।’

ইসির উদ্দেশে মঈন খান বলেন, ‘এই নির্বাচনে আপনারা এই সিদ্ধান্তটা নেন; কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা, কোনো সহাকরী রিটার্নিং কর্মকর্তা আপনাদের (ইসির কর্মকর্তা) বাইরে হবে না। এই একটিমাত্র সিদ্ধান্ত নেন, দেখবেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। ১০ লাখ লোক আপনারা দিতে পারবেন না। কিন্তু পাঁচ, ছয় শ লোক আপনারা দিতে পারবেন।’

মঈন খান বলেন, ‘সমমনা দলগুলো দেড় দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি, একটি মাত্র উদ্দেশ্য ছিল। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। আমাদের আর কোনো মোটিভ নেই। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। আপনারা শক্ত থাকেন, সিদ্ধান্তগুলো নেন। এই ক্ষমতা সংবিধান আপনাদের দিয়েছে। যেটা আমরা অতীতে দেখেছি, নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে নতজানু হয়ে থাকলে এভাবে কোনো দেশে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারবে না।’

মঈন খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কম্পিউটারে চারটি বাটন আছে; একটা ডিসি, একটা এসপি, একটা ইউএনও আরেকটা হচ্ছে ওসি। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে চারটি বাটন টেপা হয়, ৩০০ নির্বাচনী এলাকার ফল প্রিন্ট আউট হয়ে বের হয়ে আসে। এই পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’

মঈন খান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের একটাই করণীয়। নিয়মনীতি মেনে নির্বাচন করা। আচরণবিধির প্রতিপালন করতেই হবে, এ নিয়ে দ্বিমত নেই। আমরা নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচন করব। তফসিলের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেখছি না। আমরা পরামর্শ দিয়েছিলাম, সবকিছুর প্রতিফলন দেখিনি। যতই অঙ্গীকারনামা নেওয়া হোক, নিজেদের সংশোধন না করলে তা কোনো কাজে আসবে না। যত নিয়মনীতি তৈরি করা হবে, তত তা লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়বে। কাজেই এটা যত সিম্পল করা যায়।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারের বিষয়ে মঈন খান বলেন, ‘আমরা মিস ইনফরমেশন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছি। স্বাধীনতা একটি সীমাবদ্ধ ফ্রিডম; যা খুশি তাই করা সম্ভব নয়। যদি মানুষ সচেতন নাগরিক হয়, তাহলে তারা আইনসংগতভাবে ব্যবহার করবে। আমরা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছি যে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষা ও অনুভূতিতে আঘাত না করা এবং ধর্মীয়, লিঙ্গ, বর্ণভিত্তিক বৈষম্য এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে আশা করি কমিশন, প্রার্থী সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবে।’

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। চার দিনে ৪৭টি দল ইসির সংলাপে অংশ নিয়েছে। সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৪৯টি দলকে। তৃণমূল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ইসির সংলাপে অংশ নেয়নি।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সাতটি দলকে এখনো সংলাপে ডাকা হয়নি। পরবর্তী সংলাপের তারিখও এখনো নির্ধারণ করেনি কমিশন। তবে বাকি দলগুলোকে ডাকা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ইসি।

এই সম্পর্কিত আরো

২০ তরুণের কর্মসংস্থান ও শত তরুণের স্বপ্নসারথী জসিম উদ্দিন

জৈন্তাপুরে বিএনপি নেতা জামান টার্গেট কিলিং ও ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না, প্রতিহত করা হবে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া পরবর্তী সংসদে নির্ধারণ : অ্যাটর্নি জেনারেল

দুই বিদেশি কোম্পানিকে ১০ বছর করমুক্ত সুবিধা

ডলারের দাম বাড়ায় কমেছে স্বর্ণের দাম

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩৫০ ছাড়াল

প্রতিদিন মিলবে পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কৈলাশটিলার পুরনো কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধ্যান

মুশফিক-লিটনের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ৪৭৬

সুনামগঞ্জ ১ আসনে মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত মনোনয়নে মূল্যায়নের দাবিতে গণ মিছিল

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাকিবকে দুদকে তলব