শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জৈন্তাপুরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে কবি-সাংবাদিক রহমত আলী রচিত ‘বিলাতের বৃষ্টি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেট-৪ আসন: মনোনয়ন দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ বিএনপির দুর্দিনে আমরাই ছিলাম, ভবিষ্যতেও অগ্রভাগে থাকব: অ্যাডভোকেট জামান ঘরে ঘরে অসুস্থতা, হাসপাতালে ভিড়: সিলেটে শীতের প্রভাব আগামী নির্বাচনে ছাত্র-জনতা দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে : গোলাম পরওয়ার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ২১ নভেম্বর: ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ কত দামে বিক্রি হচ্ছে জুয়া খেলার অভিযোগে বাগবাড়ি থেকে আটক ৬ যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আটক ব্যক্তির ডিবি হেফাজতে মৃত্যু
advertisement
জাতীয়

দেশ পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অক্ষুণ্ন থাকবে, বিশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

দেশ পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর চলমান ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে ঢাকার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে এ আস্থার কথা জানান। 

ড. ইউনূস বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে দেশের জন্য ত্যাগ ও তৎপরতার এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখবে। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস দেশের মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তরণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন– তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনায় তিন বাহিনীর প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শান্তিরক্ষী সদস্যদের পরিবারবর্গসহ দেশি–বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণের শুরুতেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল বীরদের স্মরণ করেন। পাশাপাশি তিনি ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত, আহত এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, তাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশ পুনর্গঠনের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। ২৫ মার্চের রাত থেকেই মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের সংগ্রাম শুরু হয় এবং ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন চূড়ান্ত রূপ পায়। তিনি বলেন, ১৯৭১-এর যৌথ অভিযানই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় নিশ্চিত করেছিল—যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

দেশ পুনর্গঠন ও ২০২৪-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সশস্ত্র বাহিনীর অব্যাহত সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণের আস্থা রক্ষায় সেনাবাহিনী সবসময় অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী হলেও বহিঃআগ্রাসন প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকা জরুরি। তিনি জানান, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, নতুন প্রযুক্তি সংযোজন এবং উন্নত প্রশিক্ষণের কাজ এখন অব্যাহত রয়েছে।

গত ৩৭ বছরে ৪৩টি দেশে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তিনি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম উন্নয়নে অব্যাহত প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ–সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো। 

এই সম্পর্কিত আরো

জৈন্তাপুরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিশ্বনাথে কবি-সাংবাদিক রহমত আলী রচিত ‘বিলাতের বৃষ্টি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

সিলেট-৪ আসন: মনোনয়ন দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ

বিএনপির দুর্দিনে আমরাই ছিলাম, ভবিষ্যতেও অগ্রভাগে থাকব: অ্যাডভোকেট জামান

ঘরে ঘরে অসুস্থতা, হাসপাতালে ভিড়: সিলেটে শীতের প্রভাব

আগামী নির্বাচনে ছাত্র-জনতা দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে : গোলাম পরওয়ার

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা

২১ নভেম্বর: ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ কত দামে বিক্রি হচ্ছে

জুয়া খেলার অভিযোগে বাগবাড়ি থেকে আটক ৬

যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আটক ব্যক্তির ডিবি হেফাজতে মৃত্যু