শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আইন-আদালত

গ্রেফতার সেই টগরের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল র‍্যাব

বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজা ভোগের পর মুক্তি পাওয়া মুশফিক উদ্দীন টগর অস্ত্র বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন বলে জানিয়েছে র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার আজিমপুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩। 

র‌্যাব জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করে টগর সেগুলো ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করতেন। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি ৩২ এমএম রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, কাঠের পিস্তলের একটি গ্রিপ, ১৫৫ রাউন্ড .২২ ক্যালিবার রাইফেলের গুলি, একটি ৭.৬২ মিমি মিসফায়ার গুলি, শর্টগানের একটি খালি কার্তুজ, দুটি মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বলেন, প্রথমে আমরা শুধু অস্ত্র উদ্ধারের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাই। পরে গ্রেফতারের পর জানতে পারি তিনি সনি হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে, যা অনুসরণ করে আরও অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও জানান, টগরের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অস্ত্র মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া মুগদা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদকের মামলাও আছে। বর্তমানে অস্ত্র মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। র‌্যাবের দাবি, টগরের কাছে আরও অস্ত্রের সন্ধান থাকতে পারে। তার কাছ থেকে কিছু নম্বর পাওয়া গেছে, যেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।

২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ঘটনার পর মামলা হলে বিচারিক আদালতে মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। একই মামলায় এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মুকি পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়, সাগর এখনো পলাতক রয়েছেন। তবে টগর কারাগারে ছিলেন এবং ২০২০ সালের ২০ আগস্ট কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মুক্তির পর তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও পরবর্তীতে আবার অস্ত্র বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন।

র‌্যাব জানায়, টগর অস্ত্র কার কাছে সরবরাহ করেছেন সে তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সম্পর্কিত আরো