প্রশ্ন: ফেসবুকে বা মেসেঞ্জারে কেউ সালাম দিলে সালামের জবাব লেখা ওয়াজিব না শুধু মনে মনে দিলেই হবে?
উত্তর: সালামের উত্তর দেওয়া আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। (সুরা আন নিসা- ৮৬)
তবে লিখিত সালামের জবাব লিখেও দেওয়া যায় আবার মুখে উচ্চারণ করেও দেওয়া যায়।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি চাইলে জবাব লিখেও পাঠাতে পারেন অথবা বারবার লিখে পাঠানো আপনার জন্য কষ্টদায়ক মনে হলে নিজে নিজে মুখে জবাব দিয়ে দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে মৌখিক জবাব তাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয় এবং সালামের জবাবের জন্য তাকে পাল্টা উত্তর লেখা জরুরি নয়। বরং একাকী মুখে জবাব দিয়ে দিলেই হবে। (ফয়যুল কাদীর ৪/৩১; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১)
উল্লেখ্য, নারী পরপুরুষকে কিংবা পুরুষ পরনারীকে বিনা প্রয়োজনে সালাম দেওয়া ঠিক নয়। যদি কোনো নারী কোনো পরপুরুষকে কিংবা পুরুষ পরনারীকে সালাম দিয়ে দেয়, তাহলে তার সালামের জবাব দেওয়াও ওয়াজিব নয়। তবে একে অপরের সঙ্গে কোন প্রয়োজনীয় কথা বলার দরকার হলে তখন কথা শুরু করার আগে সালাম দিতে পারবেন।
সুতরাং ফেসবুকে অযথা সালাম দিয়ে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই। কারণ ফিতনার দিকে প্রথম পদক্ষেপ হয়ত সালামের মধ্য দিয়েই হবে ।
এ মর্মে ইমাম নববী রহ. বলেন, যদি পরনারী এমন হয় যে, ফিতনার আশঙ্কা আছে তাহলে পুরুষ তাকে সালাম দেবে না। যদি সে সালাম দিয়ে দেয় তাহলে নারী উত্তর দিবে না। আর নারী পরপুরুষকে আগে সালাম দেবে না। যদি সে সালাম দিয়ে দেয় তাহলে সে উত্তর পাওয়ার উপযুক্ত হবে না। (আল আযকার ৪০৭)