✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

বন্ধ বাড়ি, ভিতরে তিন শিশুসহ পাঁচ-পাঁচটি মৃতদেহ

একই পরিবারের ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করলো ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ!   জানা গিয়েছে, মৃত পাঁচজন হলেন স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের তিন কন্যা। তিন শিশুরই  বয়স ১০ বছরের নীচে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়েছিল। সেখানেই তিন কন্যার দেহ বক্স খাটের ভিতরে ভরা ছিল। বুধবার থেকে ওই পরিবারের কাউকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়নি। ডেকে সাড়াশব্দ না পেয়েই প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই  বাড়িটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ হয়ে রয়েছে, বাসিন্দাদের কারও খোঁজ মিলছে না- এই বিষয়ে ফোন আসে থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায়, বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ, কারও কোনও সাড়া মিলছে না। তখন পুলিশ ছাদ দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকে এবং মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন মইন, তাঁর স্ত্রী আসমা, এবং তাঁদের তিন মেয়ে, আফসা (৮), আজিজা (৪), এবং আদিবা (১)। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদের সকলেরই মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই অনুমান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে এটি খুন বলেই মনে হচ্ছে। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেও  খুন করা হতে পারে।  পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের একজনের পা বিছানার চাদর দিয়ে বাঁধা ছিল। তাতে খুনের তত্ত্ব আরও জোরালো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই পরিবারটি খুব সম্প্রতি অন্য এলাকা থেকে মিরাটের লিসাদি গেট এলাকায় গিয়েছিল। মইন পেশায় মেকানিক। কাদের সঙ্গে সে ওঠাবসা করত, কোনও অপরাধ চক্রের সঙ্গে যোগ ছিল কিনা, সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মইনের ভাই সেলিমই প্রথম সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী। ভাইয়ের হদিস  না পেয়ে  চরম উদ্বিগ্ন সেলিম তার স্ত্রীকে নিয়ে মইনের বাড়িতে পৌঁছে হাড়হিম করা দৃশ্য দেখতে পায়।

এই সম্পর্কিত আরো