বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: ডা. তাহের বিএনপি কেন গণভোট নির্বাচনের দিনে চায়, জানালেন সালাহউদ্দিন সেন্টমার্টিন খুলছে ১ নভেম্বর, পর্যটকদের ১২ নির্দেশনা অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের অঙ্গীকার ওমর ফারুকের, চেম্বার নির্বাচনে ৪ নং ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গোয়াইনঘাটে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০ এখনই দেশে ফেরার পরিকল্পনা নেই হাসিনার, থাকবেন ভারতে: রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার নবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর গাড়িতে ডাকাতি: চুনারুঘাটে র‌্যাবের অভিযানে দুই ডাকাত আটক শান্তিগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সিলেটে ঝাড়ফুঁক আর তাবিজের ছায়ায় মানসিক স্বাস্থ্য
advertisement
আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে মোদির অনুপস্থিতি কোন বার্তা দিচ্ছে?

নিউইয়র্কে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। বৈশ্বিক এই গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাচ্ছেন না। তার পরিবর্তে প্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি-ই মোদির হয়ে বক্তব্য রাখবেন।


প্রশ্ন উঠছে, কেন মোদি এমন সময়ে জাতিসংঘের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় যাচ্ছেন না? আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারত এখন ক্রমবর্ধমান শক্তি, সে অবস্থায় এই অনুপস্থিতি নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।


বিশ্লেষকদের মতে, মোদির এই সিদ্ধান্তের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কর্মব্যস্ততা। অর্থনীতি ও নির্বাচনী প্রস্তুতি এখন মোদির অগ্রাধিকারে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। তাই দিল্লি হয়তো মনে করছে জাতিসংঘে না গেলেও প্রভাব খাটানো সম্ভব।


ভারতের পররাষ্ট্রনীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহুপাক্ষিক থেকে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক জোটে বেশি ঝুঁকছে। জি২০, ব্রিকস, কোয়াড—এসব জায়গায় ভারতের উপস্থিতি স্পষ্ট। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া, জাপান—সব দেশেই দিল্লির সক্রিয় কূটনীতি চলছে। ফলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উপস্থিতিকে দিল্লি হয়তো প্রতীকী মনে করছে।


তবে সমালোচকরা বলছেন, মোদির এই অনুপস্থিতি পাকিস্তানের মতো দেশের জন্য বাড়তি সুযোগ তৈরি করবে। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সব সময় জাতিসংঘকে ব্যবহার করে। মোদির অনুপস্থিতিতে ভারতের বক্তব্য হয়তো ততটা গুরুত্ব পাবে না। জয়শঙ্কর অভিজ্ঞ হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য নন।


আরেক দৃষ্টিতে, এটি ভারতের আত্মবিশ্বাসী অবস্থানকেও তুলে ধরছে। মোদি হয়তো বোঝাতে চাইছেন, ভারতের কণ্ঠ এখন বহুস্তরীয় কূটনীতির মাধ্যমে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। শুধু জাতিসংঘের মঞ্চই নয়, ভারত এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক জোটের মধ্য দিয়েই বেশি প্রভাব বিস্তার করছে।


সব মিলিয়ে বলা যায়, মোদির অনুপস্থিতি একদিকে দিল্লির নতুন কূটনৈতিক অগ্রাধিকারকে ইঙ্গিত করছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে প্রতীকী শূন্যতাও তৈরি করছে। ভারত কিভাবে এই ভারসাম্য রক্ষা করবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

এই সম্পর্কিত আরো

জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: ডা. তাহের

বিএনপি কেন গণভোট নির্বাচনের দিনে চায়, জানালেন সালাহউদ্দিন

সেন্টমার্টিন খুলছে ১ নভেম্বর, পর্যটকদের ১২ নির্দেশনা

অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের অঙ্গীকার ওমর ফারুকের, চেম্বার নির্বাচনে ৪ নং ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

গোয়াইনঘাটে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

এখনই দেশে ফেরার পরিকল্পনা নেই হাসিনার, থাকবেন ভারতে: রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার

নবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর গাড়িতে ডাকাতি: চুনারুঘাটে র‌্যাবের অভিযানে দুই ডাকাত আটক

শান্তিগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

সিলেটে ঝাড়ফুঁক আর তাবিজের ছায়ায় মানসিক স্বাস্থ্য