রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

গাজায় ১০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি হামলা অব্যাহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার কয়েকটি এলাকায় ১০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুলাই) থেকে গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটি এলাকায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘মানবিক উদ্দেশ্যে’ যুদ্ধে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে দখলদার সরকার।

তবে এ ঘোষণার পরও বর্বর ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে—শুধু স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে‌, স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ জুলাই) ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিক। এছাড়াও, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) অনাহারে আরও ৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে, ইসরাইলি বাহিনীর ত্রাণ সাহায্য অবরোধ গাজায় এক ভয়াবহ ক্ষুধার সংকট তৈরি করেছে এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তবুও, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা তাদের জীবন বাজি রেখে সেই সত্য উন্মোচন করছেন, যা পশ্চিমা মিডিয়া প্রায়ই নরম করে বা অস্পষ্ট করে উপস্থাপন করে: গণহত্যার হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার করার নির্মম কৌশল বলে দাবি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের।

তীব্র ক্ষুধায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে গাজায়। ত্রাণ নিতে বলে একজোট করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। অনেক মানবিক সংস্থার দাবি, ইসরাইল ভাড়াটে সেনা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে, গাজায় হাসপাতালে তৈরি হয়েছে নির্মম এক দৃশ্য। বেশিরভাগ অসুস্থ শিশু কিংবা কিশোরের শরীরের সমস্ত হাড় দেখা যাচ্ছে। 

দক্ষিণ গাজায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসক নিক মেইনারড বলেন, ‘গাজায় ক্ষুধার্ত রোগীদের ভয়াবহ অবস্থা দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরাই।’

সূত্র: আল জাজিরা।

এই সম্পর্কিত আরো