ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তার উত্তরসূরি হিসেবে তিনজন জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতাকে নির্বাচন করে রেখেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ নেতা জানেন যে ইসরাইল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি একটি অস্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ধর্মীয় সংস্থা, অ্যাসেম্বলি অফ এক্সপার্টসকে প্রস্তাবিত তিনটি নাম থেকে দ্রুত তার উত্তরসূরি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
ইরানে একজন নতুন সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে। ধর্মগুরুরা তাদের নিজস্ব তালিকা থেকে নাম বেছে নেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু দেশটি এখন যুদ্ধে লিপ্ত, তাই খামেনি চান ‘তার উত্তরাধিকার ঠিক রাখতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দ্রুত এবং সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে’।
তবে তারা জোর দিয়ে বলেছেন, সর্বোচ্চ নেতার সম্ভাব্য উত্তরসূরি প্রার্থীদের মধ্যে নেই আলি খামেনির ছেলে মোজতাবা।
এদিকে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি) এর সর্বোচ্চ পরিষদের কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজানের একটি গোপন বাঙ্কারে সপরিবারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে খামেনিকে। তার সঙ্গে তার প্রভাবশালী ছেলে মোজতবা খামেনিও রয়েছেন।
সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেছেন, আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ টার্গেট, তবে আপাতত তাকে হত্যা করা হবে না। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না বেসামরিক মানুষ বা আমেরিকান সৈন্যদের দিকে আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতা হস্তান্তরের এ পদক্ষেপ একটি সম্ভাব্য ‘প্রি-এম্পটিভ ট্রান্সফার অব অথরিটি’, যার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কমান্ড কাঠামো অক্ষুণ্ন রাখা যাবে, যদি খামেনি নিহত হন।