বুধবার, ২১ মে ২০২৫
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া সিলেটের সাদাপাথরে ১৪ জনের জেল, নৌকা ভাংচুর নবীগঞ্জে ফেইক আইডি দিয়ে মানহানিকর পোষ্ট সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ কমলগঞ্জে ২টি সিএনজি অটোরিক্সা চুরি চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক ও জুস রপ্তানি বন্ধ জামালগঞ্জে ডেভিল হান্ট অপারেশনে গ্রেফতার ১ বিদেশ ফেরত নারী - স্বপ্নভঙ্গের গল্প: অখন না পারমু কাম করি খাইতাম, না পারমু বিয়া বইতাম ভারত কেন যুদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের সমাধান করতে পারবে না সিলেটে বন্যার আতঙ্ক - নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা, প্রশাসনের প্রস্তুতি উপদেষ্টাদের জন্য ২৫ গাড়ি কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল সরকার
advertisement
আন্তর্জাতিক

ভারত কেন যুদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের সমাধান করতে পারবে না

সামরিক দিক বিবেচনায় চলতি মাসে অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। এ সংঘাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের স্পর্শকাতর বিমানঘাঁটিগুলোর হ্যাঙ্গারে ফাটল এবং রানওয়েতে গর্ত তৈরি করতে সক্ষম হলেও দীর্ঘদিনের শত্রুর সঙ্গে তাদের আকাশযুদ্ধে কিছু যুদ্ধবিমান হারাতে হয়েছে।

তবে কৌশলগত দিক বিবেচনা করলে, যুদ্ধক্ষেত্রের এ ফলাফলটা ভারতের জন্য স্পষ্টত একটি ধাক্কা। কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উদীয়মান এই দেশ এখন নিজেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সমপর্যায়ের অবস্থানে দেখতে পাচ্ছে। সেই পাকিস্তান যেটি আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট, শক্তিতে দুর্বল এবং যাকে ভারতীয় কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবাদের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

চার দিনের এ সংঘর্ষ আবারও বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে, ভারত তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ৭৮ বছর ধরে চলা সংঘাতের মীমাংসা করতে অক্ষম। সংঘাতপূর্ণ যেকোনো কর্মকাণ্ডই পাকিস্তানকে সুবিধা দেয়। কারণ, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাত তাদের অন্যতম জীবনীশক্তি।

দুই দেশের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারকে বিবেচনা করলে, কোনো পক্ষের পূর্ণাঙ্গ সামরিক জয় প্রায় অসম্ভবই বলা চলে।

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমরা ভারতীয়রা যেটির জন্য এত সময় ও শ্রম নষ্ট করছি, তা আসলে কৌশলগত বিভ্রম: পাকিস্তান থেকে হওয়া সন্ত্রাস। তবে এটি একটি বাস্তবতা এবং আমাদের উচিত যতটা সম্ভব দক্ষতার সঙ্গে এটাকে সামাল দেওয়া।’

কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়, সে চিন্তাটি সেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় নেতাদের মাথায় ঘুরছে। কয়েকজন কূটনীতিক, বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভারতের চিরস্থায়ী দুশ্চিন্তার একটি স্পষ্ট  চিত্র পাওয়া গেছে।

ভারত ও পাকিস্তান—দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। তাদের বিরোধ মেটাতে কয়েকটি তৎপরতা ব্যর্থ হয়েছে। দুই দেশের সমস্যা ক্রমাগত জটিলতার দিকেই এগিয়েছে।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকারী পশ্চিমা কূটনীতিকদের মতে, ভারত এখন এতটাই কূটনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত হয়েছে যে দেশটি তাদের ভাবমূর্তি অনেকটা অক্ষুণ্ন রেখেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি প্রাণঘাতী হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে চলতি মাসে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। দুই দেশই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে ড্রোন এবং অন্য আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করায় উত্তেজনা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। পাশাপাশি ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন এবং পাকিস্তানের পক্ষে চীনের অবস্থানের কারণে বিশ্বশক্তির রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন মাত্রা পায়।

ভারত ও পাকিস্তান—দুই দেশের নেতারাই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাকে আগলে রেখেছেন। দুই দেশই একে অপরের প্রতি অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে থাকে। আর এ কারণে কোনো ধরনের আপস বা শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।

ভারতে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী শাসনের উত্থান হওয়ার পর দেখা গেছে যখনই উত্তেজনা তৈরি হয়, তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডানপন্থী সমর্থক গোষ্ঠী রক্তপাতের দাবি তোলে।

আর অভ্যন্তরীণ এই চাপের কারণে এবার ভারত ২০০৮ সালের মতো সংযম দেখাতে পারেনি। ওই বছর মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। তখন ভারত দায়িত্বশীলতা ও সংযমের পরিচয় দিয়েছিল। ওই সময় তারা উপলব্ধি করেছিল, যুদ্ধ ভারতের উত্থানকে থামিয়ে দিতে পারে। আর এ উপলব্ধিটি ছিল প্রতিশোধ নেওয়ার অভ্যন্তরীণ চাপের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সময় ভারত সরকার পাকিস্তানে সামরিক হামলার পথ নেয়নি। সেই সময় ভারতের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী হামলার ভয়াবহতার ওপর সারা বিশ্বের দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত রাখা এবং সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা হিসেবে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করা। তখন যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সমপর্যায়ের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখাতে চায়নি ভারত।

১৭ বছর পর, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা আবারও নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের এক মনোরম উপত্যকায় তারা হামলা চালিয়ে দুই ডজনের বেশি পর্যটককে হত্যা করেছে। তবে এবার পাকিস্তানে সামরিকভাবে হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে ভারত। দুই দেশ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ছায়াযুদ্ধের নীতি অবলম্বনের জন্য মূল্য চুকাতে হবে—এমন বার্তাই পাকিস্তানকে দিতে চেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক হামলাগুলো একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই কৌশলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অভিন্ন নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও রয়েছে।

এমনকি শিবশঙ্কর মেননের মতো সমালোচকেরা পর্যন্ত স্বীকার করছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের সামনে অন্য কোনো বিকল্প ছিল না বললেই চলে।

এক অনড় প্রতিবেশী

বছরের পর বছর ধরে ভারত ও পাকিস্তান একেবারে ভিন্ন পথে হাঁটছে।

ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চীনের প্রভাব ঠেকাতে দেশটিকে একটি ভূরাজনৈতিক অংশীদার এবং বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে আপন করে নিয়েছে। বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় নেতারা ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয়’ অঞ্চল নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। পূর্ব এশিয়ার উন্নত অর্থনীতির বিষয়টি এ আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে পুরোনো ‘ইন্দো-পাকিস্তান’ সমস্যা তাঁদের আলোচনায় ক্রমেই গুরুত্ব হারাচ্ছে।

সম্প্রতি এক আলোচনায় হোয়াইট হাউসের সাবেক উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফাইনার বলেন, বর্তমানে চীনসংক্রান্ত উদ্বেগকে পাকিস্তানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় ভারত।’

ফাইনার আরও বলেন, হিমালয় সীমান্তে চীনের বারবার অনুপ্রবেশ এবং আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি হওয়ার প্রেক্ষাপটে চীনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত ভারত। এ সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে শক্তিক্ষয় করতে চায় না দেশটি।


একটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে চলতি মাসে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। দুই দেশই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে ড্রোন এবং অন্য আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করায় উত্তেজনা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। পাশাপাশি ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন এবং পাকিস্তানের পক্ষে চীনের অবস্থানের কারণে বিশ্বশক্তির রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন মাত্রা পায়।

তবে জন্ম থেকেই সেনাবাহিনীর প্রভাব–প্রতিপত্তিতে পরিচালিত পাকিস্তান সব সময় এক অদৃশ্য ছায়ার মতো পেছনে লেগে থাকে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিজেদের আকার ও প্রভাব বিস্তারের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতকে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।

ভারতের অর্থনীতি পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৮ সালে ভারত বিশ্বশক্তির কাতারে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেয়। তারা ভূগর্ভে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। দুই সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানও নিজস্ব পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশই পারমাণবিক সক্ষমতার দিক থেকে সমকাতারে চলে আসে।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দ্রুতই এই অঞ্চলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক’ অঞ্চল হিসেবে অভিহিত করেন। ভারত যা চেয়েছিল, ফল হলো তার উল্টো। ভারত চীন, রাশিয়া ও পশ্চিমাদের সঙ্গে নিজেকে বিশ্বশক্তির ক্লাবে যুক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা না হয়ে ভারত এক ভয়াবহ নতুন জটিল সংকটে আটকা পড়ে গেল।

তবে পারমাণবিক সমতা শান্তি আনতে পারেনি। আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে জিহাদি মিলিশিয়াদের পরিচালিত করার নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিসর আরও বিস্তৃত করে পাকিস্তান।

কঠোর অবস্থান

আগের নেতাদের মতো করে ভারতের হিন্দু-জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একসময় শান্তির পথ খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৪ সালে বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসার পরের বছর তিনি হঠাৎ করেই পাকিস্তান সফরে যান। এক দশকে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটাই ছিল প্রথম পাকিস্তান সফর। মোদি ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। সম্পদ বিনষ্টকারী সংঘাতের সমাধান করা যায় কি না, সে পথ খুঁজছিলেন তিনি।

এর ৯ মাস পর ভারতের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়। ভারত তখন অভিযোগ করে, এ হামলার জন্য পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো দায়ী। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে শান্তিসংক্রান্ত যেকোনো আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়।

হামলার জবাবে ভারত যে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তার মধ্য দিয়ে নতুন এক ধারা তৈরি হয়। আর তা হলো, প্রতিবার হামলার পর পাল্টা কড়া জবাব দেওয়ার ধারা। ২০১৯ সালে ভারতীয় বাহিনীর ওপর হওয়া হামলা এবং গত মাসে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জবাবও একইভাবে দিয়েছে ভারত।

ভারত একই সঙ্গে পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার একটি কৌশলও নিয়েছে। এর মধ্যে আছে—আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া, কূটনৈতিকভাবে দেশটিকে একঘরে করে ফেলা, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং গোপনে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকে আরও উসকে দেওয়া।

মোদির জাতীয় নিরাপত্তা নীতির স্থপতি হিসেবে পরিচিত অজিত দোভাল বলেছেন, পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কায় ভারতের আগের সরকারগুলো অত্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক হয়ে পড়েছিল। তিনি একটি ‘প্রতিরক্ষামূলক আক্রমণ’ কৌশল অবলম্বনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা মূলত পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধ কৌশলেরই প্রতিচ্ছবি।

বিশ্লেষক ও কর্মকর্তাদের মতে, ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূলের চেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নয়াদিল্লি লক্ষ্যভিত্তিক হত্যার অভিযান চালিয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ভারতের হাত থাকার অভিযোগও উঠেছে—বিশেষ করে ইরান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ভারতের ভূমিকা থাকার অভিযোগ আছে।

২০১৪ সালে অজিত দোভাল বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি মুম্বাইয়ের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটান, তাহলে আপনাদের বেলুচিস্তান হারাতে হতে পারে। এতে কোনো পারমাণবিক যুদ্ধ হবে না। সেনাদের সম্পৃক্ততা থাকবে না। আপনারা যদি কৌশল জানেন তো আমরা আপনাদের চেয়েও ভালো কৌশল জানি।’

সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ভারত আরও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তারা বলে দিয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলাকেই যুদ্ধ তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমন অবস্থায় দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সংঘর্ষের নিয়মিত ঘটনাগুলোই হয়তো নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তবে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে সামরিক শক্তি দিয়ে ভারতের অর্জনের সুযোগ সীমিত।

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেনন বলেন, ‘প্রতিরোধমূলক কৌশলের বিষয়টি আপেক্ষিক। একেকজনের দৃষ্টিতে তা একেক রকম—এটা অনেকটা মন বোঝার খেলার মতো।’

মেননের মতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চালিকা শক্তিগুলো ভারত বদলে দিতে পারবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।

চলতি মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে চার দিনের উত্তেজনা ও অনিশ্চিত সংঘাতের ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে যে ভারতের আকাঙ্ক্ষা এবং সেগুলো পূরণের সীমাবদ্ধতাগুলোর মধ্যে ব্যবধান আছে।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকারী পশ্চিমা কূটনীতিকদের মতে, ভারত এখন এতটাই কূটনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত হয়েছে যে দেশটি তাদের ভাবমূর্তি অনেকটা অক্ষুণ্ন রেখেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে।

তবে সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, ‘কোনো না কোনো ক্ষেত্রে ভারতীয় নেতাদের স্বীকার করতে হবে যে তাঁদের পক্ষে প্রতিবেশী দেশকে উপেক্ষা করে এবং নিজের পথে এগিয়ে গিয়ে বিশ্বশক্তি হওয়া সম্ভব নয়। প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের শত্রু হোক, মিত্র হোক অথবা কেবল পাশেই থাকুক—কোনো না কোনো সহাবস্থানের পথ খুঁজে বের করতেই হবে।’

এই সম্পর্কিত আরো

জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া

সিলেটের সাদাপাথরে ১৪ জনের জেল, নৌকা ভাংচুর

নবীগঞ্জে ফেইক আইডি দিয়ে মানহানিকর পোষ্ট সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ

কমলগঞ্জে ২টি সিএনজি অটোরিক্সা চুরি

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক ও জুস রপ্তানি বন্ধ

জামালগঞ্জে ডেভিল হান্ট অপারেশনে গ্রেফতার ১

বিদেশ ফেরত নারী স্বপ্নভঙ্গের গল্প: অখন না পারমু কাম করি খাইতাম, না পারমু বিয়া বইতাম

ভারত কেন যুদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের সমাধান করতে পারবে না

সিলেটে বন্যার আতঙ্ক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা, প্রশাসনের প্রস্তুতি

উপদেষ্টাদের জন্য ২৫ গাড়ি কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল সরকার