যদি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই আগ্রহী হয়, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কি জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক? এই প্রশ্ন করতেই পাকিস্তানের সাংবাদিককে থামিয়ে দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। সাফ জানিয়ে দিলেন “আমি এর কোনও উত্তর দেব না। এই পরিস্থিতি নিয়ে আমি বেশি কিছু বলব না। প্রেসিডেন্ট আর পররাষ্ট্রসচিবই যা বলার বলবেন।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ ভ্যালিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় যুবককে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় তারা। এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারতের অভিযোগ পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যখন ভারতে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সফরে ছিলেন, তখন এই সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রসচিব মার্কো রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমেরিকা ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের সকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা নিহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করি। এই জঘন্য কাজের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের সামনে উত্থাপিত প্রশ্নটি ওভাল অফিসে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সাথে সম্পর্কিত, যখন তিনি দু'বার বলেছিলেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার জন্য তার কাছে আবেদন করেছিলেন। ট্রাম্প ২০১৯ সালে বলেছিলেন, যদি পাকিস্তান এবং ভারত উভয়ই আমাকে এটা (মধ্যস্থতা )করতে বলে, আমি প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। যদিও এটি একটি জটিল বিষয়।
২০১৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মার্কিন সফরের সময় তিনি প্রথম দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের মন্তব্যের পরপরই, ভারত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি কখনও তাকে মধ্যস্থতা করতে বলেননি। বিদেশ মন্ত্রক এক্সে পোস্ট করে- ভারতের তরফ থেকে এরকম কোনও অনুরোধ করা হয়নি। সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে ভারত কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণ করবে না।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে