শনিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে গালফ টাইমস। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল মাওয়াসিতে শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে কামানের গোলা বর্ষণ করেছে ইসরাইল। এতে এক নারী নিহত এবং চার শিশু গুরুতর আহত হয়েছেন।
এছাড়া মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান চালিয়েছে তেল আবিব। এতে ওই অঞ্চলগুলোতে ১০ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পূর্ব গাজার কাছে অবস্থিত আল তুফাহ এবং আল মাগাজি শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলা বর্ষণ করেছে ইসরাইল। এছাড়া রাফাতেও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। ভারী সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে শহরের উপকূলরেখা বরাবর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এতে এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ১৫৭ নিহত এবং এক লাখ ১৬ হাজার ৭২৪ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এখনও বহু ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে যাদের কোনো খোঁজ নেই। তারা বেঁচে আছেন কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে আইন মন্ত্রণালয়ে দরখাস্তের আহবান
সবুজ সিলেট ডেস্ক
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত করা যাবে। রোববার সচিবালয়ে এসব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির ১১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ের মধ্যে হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যেকোনো ব্যক্তি এখন থেকে সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করতে পারবেন। আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটার বরাবর এই আবেদন করতে হবে।
দরখাস্তের সঙ্গে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে হবে। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের চলমান কার্যক্রমকে বেগবান করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও ৭২৪টি মামলা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সভায় এই কমিটি ৭ হাজার ৫৭০টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ২৯৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এই কমিটি। আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ের মধ্যে দায়ের হওয়া সব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কমিটি।