✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

হুমকি-ধামকি দিয়ে ইরানকে সমঝোতার টেবিলে বসানো যাবে না: খামেনি

হুমকি-ধামকি দিয়ে ইরানকে সমঝোতার টেবিলে বসানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ইরানকে চিঠি দেয়ার যে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার প্রেক্ষিতে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, এর আগে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানকে দুটি উপায়ে মোকাবিলা করা যেতে পারে। হয় সামরিকভাবে অথবা তাদের সঙ্গে চুক্তি করে। তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে সমঝোতার টেবিলে বসতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। 

তবে ট্রাম্পের এই আহ্বানকে হুমকি হিসেবে দেখছে ইরান। ঊর্ধ্বতন ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি বলেছেন, ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হচ্ছে তাদের নিজস্ত প্রত্যাশা চাপিয়ে দেয়া।

এসব হুমকিপ্রবণ সরকারের আলোচনায় জোর দেয়া সমস্যা সমাধানের কোনো পথ নয়। তাদের কেবল ইরানের পারমাণবিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা তোলা উচিত নয়। ইরান তাদের দাবি মেনে নেবে না।

সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই এসব বলেছেন খামেনি। তার এই মন্তব্যের জবাবে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস সামরিক পদক্ষেপের বিকল্পটি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যেমনটি ট্রাম্প বলেছেন। হিউজেস বলেছেন, আমরা আশা করি ইরান সরকার সন্ত্রাসের চেয়ে তার জনগণ এবং সর্বোত্তম স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। 

তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক বিষয়ে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশের পাশাপাশি ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের মতো বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ শুরু করেছেন। তিনি চাইছেন ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনতে।

২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেসময় তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনেক দূর এগিয়েছে ইরান। অবশ্য ইরান সবসময় দাবি করেছে অস্ত্র তৈরির জন্য নয় বরং শান্তিমূলক কার্যক্রমের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি চলমান রেখেছে তারা। 

এই সম্পর্কিত আরো