✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার বিষয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে হামাস। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।

রোববার (৯ মার্চ) আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মিসরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে সংগঠনটি গাজায় শর্তহীন মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর জোর দেয়।

হামাসের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি জানিয়েছে, তারা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে এবং এই আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। কারণ, আলোচনার এ ধাপ সফল হলে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করতে পারে।

একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তিতে হামাস কয়েকটি প্রধান দাবি উপস্থাপন করেছে : গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের ওপর আরোপিত অবরোধ সম্পূর্ণরূপে তুলে নেওয়া। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা।

হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানুয়া বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোকে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর সোমবার (১০ মার্চ) ঘোষণা করেছে, দোহায় তারা তাদের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে। তবে ইসরায়েল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি গত ১ মার্চ শেষ হয়। ওই সময়ে হামাস ২৫ জিম্মিকে জীবিত এবং আটজনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদি ইসরায়েল ও হামাস কোনো সমঝোতায় পৌঁছায়, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতে পারে।

এই সম্পর্কিত আরো