মার্কিন প্রশাসন বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন কঠোর হয়ে গেছে এবং তারা অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে এক বার্তা দেয়া হচ্ছে—অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি নেয়া মূল্যহীন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো একদল ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে সামরিক বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরিয়ে পাঠানো হয়। মোট ২০৫ জন ভারতীয়কে টেক্সাস থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। মার্কিন প্রশাসন জানায়, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং আরও অনেক ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এমন কঠোর পদক্ষেপের আগে, ট্রাম্প প্রশাসন গুয়াতেমালা, পেরু ও হন্ডুরাসের মতো দেশ থেকেও অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছিল। ভারতের ক্ষেত্রে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয়ই এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন, এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো ভারতীয় যদি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকে, তাদের ফেরত নিতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর, ট্রাম্প অভিবাসন নীতি নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে, তার প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন নির্বাহী আদেশে সই করে তিনি এই ধরনের নীতি কার্যকর করেছেন। এই পদক্ষেপ ভারতীয় অভিবাসীদের ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই ইস্যু নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ভারত সরকার সবসময়ই তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরাতে উৎসাহী, তবে সামরিক বিমানে করে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
এখন, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতি, বিশেষ করে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে, ওই বৈঠকটির গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।