সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানে পুলিশের গাড়ির ওপর নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কঠোর পোশাকবিধির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদের সর্বশেষ ঘটনা।
আজ রোববার ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ভিডিওটির সঠিক সময় ও স্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বলছেন, এটি বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরানের ধর্মীয় নগরী মাশহাদে ধারণ করা হয়েছে।
এই নতুন ভিডিওটি এমন এক সময়ে ভাইরাল হলো, যখন মাত্র তিন মাস আগে তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে আহু দরিয়াই নামে এক নারী শিক্ষার্থী নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর প্রতিবাদ হিসেবে নিজের পোশাক খুলে ফেলেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় দরিয়াইকে গুরুতর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাঁর মাথা গাড়ির দরজা বা একটি স্তম্ভের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারাত্মক রক্তক্ষরণও হয়। এমনকি তাঁর রক্তের দাগ গাড়ির টায়ারেও দেখা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে ‘নারীদের স্বাধীনতা’ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের পর থেকে কট্টরপন্থীরা নারীদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।
সরকারের বাধা ও দমন-পীড়ন সত্ত্বেও জনগণের বড় অংশ এসব বাধানিষেধ এখন অমান্য করে চলেছেন। তবে বাধ্যতামূলক হিজাব আইন আরও জোরদার করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া এবং হিজাব সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত গাড়িগুলো জব্দ করার ঘটনা অন্যতম।