তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন ব্যক্তি এবং ২০টি মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই পদক্ষেপের ফলে চীনে এসব কোম্পানি ও ব্যক্তিদের যে কোনো সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। দেশীয় সংস্থা ও ব্যক্তিদের তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেয়। এরপরই চীনের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। সাম্প্রতিক অস্ত্র বিক্রির ঘোষণাটি ছিলো দ্বীপটির জন্য সর্বকালের বৃহত্তম মার্কিন অস্ত্র প্যাকেজ- যা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে।
তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা এবং সংস্থাগুলোর নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত নয়জন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী রয়েছেন। তাদের চীনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বোয়িংয়ের সেন্ট লুইস শাখা, নর্থরপ গ্রুম্যান সিস্টেমস কর্পোরেশন এবং এল৩হ্যারিস মেরিটাইম সার্ভিসেস।
এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, 'তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের মূল স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দু এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রথম রেড লাইন, যা অতিক্রম করা যায় না।'
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'তাইওয়ান ইস্যুতে যে কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।' দ্বীপটিকে অস্ত্র সরবরাহের 'বিপজ্জনক' প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তথাকথিত গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে প্রায় সব দেশই চীনের নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে মনে করে। তবে তাইওয়ান এটি প্রত্যাখ্যান করে। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, তারা তাইওয়ানকে 'আত্মরক্ষায়' সাহায্য করতে আইনগতভাবে বাধ্য।