পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ঘোষিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দেশটির কয়েকটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বিক্ষোভ ঠেকাতে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর ইসলামাবাদেও ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, জননিরাপত্তার স্বার্থে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে এবং তা কঠোরভাবে মানা হবে।
তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার বিভিন্ন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। জেলখানায় সাক্ষাৎ সংক্রান্ত বিষয় সম্পূর্ণভাবে কারা প্রশাসনের দায়িত্ব, এটি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়।
ইমরান খানের দুই ছেলের ভিসা ইস্যু প্রসঙ্গে তালাল চৌধুরী বলেন, সহানুভূতির কথা বলে নয়, বরং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা দেওয়া হবে—শুধু ট্র্যাকিং নম্বর প্রদান করলেই চলবে।
সন্ত্রাসবিরোধী পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা পরিচয় গোপন করতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ও ভিপিএন ব্যবহার করছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিটিএর সঙ্গে কাজ করছে।
আজকের বিক্ষোভকে সামনে রেখে ইসলামাবাদ প্রশাসন আবারও জানিয়েছে, শহরে ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে এবং এর আওতায় কোনো সমাবেশ, র্যালি বা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তায় পুলিশসহ সব বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার হাসান ওয়াকার চীমাও ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
এদিকে কেপি সরকারের সম্পদ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমন কিছু ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কেপি মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সম্পদ রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করবেন না। তালালের অভিযোগ, কেপি পুলিশের সদস্যদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে ইসলামাবাদে আনা হচ্ছে। এতে যুক্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।
তার এসব মন্তব্য পিটিআইয়ের ঘোষিত আজকের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আসে। দলটি ইমরান খানের সাক্ষাৎ সুবিধা সীমিত হওয়ায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ও আদিয়ালা জেলের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।