যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচিত ‘গোল্ড কার্ড ভিসা’ প্রোগ্রাম আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই কার্যকর হতে যাচ্ছে। বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেবে এই ভিসা।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’সহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এবং ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) ইতোমধ্যে আবেদনকারীদের জন্য নতুন ইমিগ্রেশন ফর্মের খসড়া প্রস্তুত করেছে। এই আবেদন ফর্মের নাম আই-১৪০জি, যা বর্তমানে অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)–এর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস এরই মধ্যে জরুরি অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য প্রতিদিন ১ হাজার গোল্ড কার্ড ইস্যু করা। অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থানের কারণে কিছু সময় বিলম্ব হলেও নির্ধারিত সময়সীমার আগেই পুরো প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।
এই ভিসায় আবেদন করতে হলে- ব্যক্তিগত আবেদনকারীদের ১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করতে হবে; কর্পোরেট আবেদনকারীদের বিনিয়োগ করতে হবে ২ মিলিয়ন ডলার; আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ডলার, যা ফেরতযোগ্য নয়।
দুটি বিশেষ ক্যাটাগরি
ইবি-১ ক্যাটাগরি: যারা বিশেষ দক্ষতার অধিকারী- যেমন বিজ্ঞানী, শিল্পী, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশাজীবী- তারা এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন।
ইবি-২ (ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট ওয়েভার): যারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন, বিশেষ গবেষণা বা উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত, তাদের জন্য এই ক্যাটাগরি।
আবেদন ও যাচাই প্রক্রিয়া: আবেদন প্রথমে ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সে জমা দিতে হবে। এরপর ইউএসসিআইএস আবেদনকারীর যোগ্যতা, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং বিনিয়োগের অর্থের বৈধ উৎস যাচাই করবে। আবেদন অনুমোদিত হলে আবেদনকারীকে দূতাবাসে কনস্যুলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সবশেষে অভিবাসী ভিসা ইস্যু হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।
নতুন ‘গোল্ড কার্ড ভিসা’ প্রোগ্রামকে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ–নির্ভর অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ-সম্পদশালী ব্যক্তিদের আগ্রহ বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।