নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলারবাজার ভুমি অফিসের তহশীলদার সত্যন্দ্র কুমার দাশের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি খাজনার রিসিটে লিখেন একটা আদায় করেন আরেকটা। রিসিটে লেখা থাকে ১০০ টাকা আদায় করেন ৩ হাজার টাকা এমন ঘটনা অবাক করেছে সচেতন মহলকে।
এছাড়া ভুমি অফিসের পাশেই সরকারী খাস খতিয়ানের ভুমি দখল নিয়ে চলছে বানিজ্য। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত তহশীলদার নানা অপকর্ম করলেও কেউ প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
গত ৩/৪ বছর ধরে উক্ত ভুমি অফিস থেকে প্রায় ১শ গজ দুরে সরকারী জায়গায় দখল করে ঘর বানিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছেন কতিপয় লোকজন। ঐসব জায়গা উচ্ছেদের নামে হুমকি দিয়ে মাসোয়ারা ভিত্তিক অর্থ আদায় করছেন এই অফিসের লোকজন।
সুত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলারবাজার টু বাংলা বাজার সড়কের প্রবেশ মুখে উক্ত ভুমি অফিস থেকে প্রায় ১ শত গজ দুরে রাস্তার পাশে সরকারী জায়গায় জবর দখল করে ব্যবসা করছেন জালালসাপ গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া, রূপন মিয়া, তরাজ মিয়া, নজরুল মিয়া ও নুর উদ্দিন গংরা।
তারা দীর্ঘ ৩/৪ বছর ধরে সরকারের কোটি টাকার এই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করে আসলেও স্থানীয় ভুমি অফিস উচ্ছেদের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এবিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
জানাগেছে,বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে এই চক্র জায়গাটি জবর দখল করেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসার সত্যন্দ্র কুমার দাশকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে ওই সরকারী জায়গায় ঘর তৈরী করে তারা দিব্যি ব্যবসা বানিজ্য করে আসছেন। সরকারের কোটি টাকা জায়গা বেদখল হলেও রহস্যজনক কারনে ভুমি অফিস ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অপর দিকে খাজনা নিতে গিয়েও উক্ত তহশীলদার করে লঙ্কাকান্ড। ৫ হাজার টাকা নিয়ে ৫ শত টাকার রশীদ দেন। এমন অভিযোগ রয়েছে তহশীলদার সত্যন্দ্র কুমার দাশের বিরুদ্ধে। ভুমি অফিসে আসা জনৈক লায়েক মিয়া বলেন, আমি ৫ হাজার টাকা দিলে অফিসার ৫শ টাকার রিসিট দিয়েছেন। একই অফিযোগ করেন আরেকজন কাজল মিয়া বলেন, আমি একটি কাজে আসলে অফিসার সাব তিনশ টাকার রিসিট দিয়ে তিন হাজার টাকা আদায় করেছেন।
কুর্শি গ্রামের একজন অফিসে বলেন, আমি বিশেষ কারনে নাম প্রকাশ করবো না, আমি ১০ হাজার টাকা খাজনা দিলাম। আমাকে ২ হাজার টাকার রশীদ দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে, তহশীলদার বাকী রশীদ পরে নিতে বলেন। কিন্তু রশিদ দেননি ও টাকা তিনি ফেরত দেননি।
সরকারী জায়গা জবর দখলকারী তরাজ মিয়া বলেন, আমরা তহশীলদারকে টাকা দিয়ে উক্ত জায়গায় ঘর বানিয়ে ব্যবসা করে আসছি। আমাদের সরকারী ফি প্রতিমাসে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উক্ত তহশীলদার সত্যন্দ্র কুমার দাশের সাথে যোগাযোগ করলে সরকারী জায়গা জবর দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, উচ্ছেদ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। জবর দখলকারীদের কাছ থেকে মাসিক চাদাঁ নিচ্ছেন এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, শুনেছি সরকারী জায়গা জবর দখলকারীরা নাকি সাংবাদিকদের’কেও চাদাঁ দিয়েছেন।
কোন সাংবাদিক চাঁদা নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেননি । তহশীলদারের এমন বক্তব্য সাংবাদিক মহলে জানাজানি হলে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন সাংবাদিক সমাজসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।