বরগুনার তালতলীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন সিলেটের এক তরুণী। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আতাউল্লাহ হাওলাদারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন ওই তরুণী।
অনশনকারী তরুণীর নাম মাজেদা খাতুন (১৯)। তিনি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার বাইমার পাড় গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মৃত রমজান আলী এবং মাতা মোসা. সরিফুলনেছা (৫৫)।
মাজেদার কথিত প্রেমিকের নাম আতাউল্লাহ হাওলাদার (২৩)। তিনি তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের নিজাম হাওলাদারের ছেলে।
অনশনে থাকা তরুণী জানান, আতাউল্লাহ একটি কনস্ট্রাকশন কাজের সুবাদে তাদের এলাকায় আসেন এবং তাদের ঘরে ভাড়া থাকতেন। এ সময় তাদের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার মাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত যুবক তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বরের পর থেকে যুবক তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
তরুণীর অভিযোগ, তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ই অবিবাহিত বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ছেলের বিষয় ছেলের সঙ্গেই বুঝে নেওয়া উচিত, আমাদের কিছু করার নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি ছেলেপক্ষের হয়ে কাজ করছেন এবং টাকার বিনিময়ে মেয়েটিকে সরিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে।
জানা যায়, একাই সিলেট থেকে তালতলীতে এসে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আতাউল্লাহ হাওলাদারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন ওই তরুণী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় জমে। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’