মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ট্রেনিং বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়মান (১০), ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মারা গেছে।
নিহত আয়মান শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন বাপ্পি ও আয়শা আক্তার কাননের কন্যা।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল আয়মান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
আয়মানের প্রথম নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ জুম্মা ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তার মামা ইমরুল কায়েস জানিয়েছেন।
শুক্রবার বাদ আসর নিহত আয়মানের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় হবে এবং পরে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তার মামা ইমরুল কায়েস নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন বাপ্পি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং উত্তরায় নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর শোকে তার পিতা-মাতা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ভেদরগঞ্জের নারায়ণপুরে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্বজনদের চলছে আহাজারি।
নিহত আয়মানের মামা ইমরুল কায়েস ও প্রতিবেশীরা জানান, আয়মান ছিল অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু আগুনে পুড়ে নিঃশেষিত হলো সকলের স্বপ্ন!