জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, আপনাদের (সিলেট বাসীকে) সার্টিফিকেটের জন্য কষ্ট করে সিলেট থেকে গাজীপুরে যেতে হয়। সেখানে যাতে আর কষ্ট করে যেতে না হয়, সেজন্য আমরা সিলেটে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস করার চেষ্টা করছি।
সোমবার (২৬ মে) সিলেটের এমসি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সবথেকে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আর সারাবিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যার ৪০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী আর তার কলেজের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। গত বিসিএসে তৃতীয় স্থান দখল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যাংক-বীমা সবকিছুতে প্রথম স্থানে রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমাদেরকে কোনো ক্ষেত্রে অবহেলা করার সুযোগ নাই। আগের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলে যান। এখন ইনকোর্সের খাতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। ইনকোর্সের মার্কস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। শিক্ষার্থীদের হাজিরা শীট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে মনিটরিং নাই, আমরা সেখানে হাত দিয়েছি। সেজন্য আপনাদের (শিক্ষক) সহযোগিতা চাই। একটা ট্রেড কোর্স চালুর ব্যবস্থা করতেছি যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে চাকরি পায়। আমরা ছেলেদের জন্য আলাদা, মেয়েদের জন্য আলাদা কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে সেশন জট ৩০/৪০ শতাংশ কমিয়ে আনবো। আমরা ২৬ লক্ষ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছি এই ৭/৮ মাসে।
এমসি কলেজ সম্পর্কে তিনি বলেন, এমসি কলেজ মানে এমসি কলেজ। এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা গর্বের সঙ্গে বলে আমরা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। এই কলেজের শিক্ষকরা গর্বের সহিত বলেন আমরা এমসি কলেজের শিক্ষক। প্রিন্সিপালরা সিলেট এমসি কলেজের প্রিন্সিপাল বলে গর্ববোধ করেন।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম জাফরুল আযম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আকমল হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল করিম প্রমুখ।
এছাড়া এমসি কলেজের শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ বেগমের সঞ্চালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর সুনীল ইন্দু অধিকারী।
এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ সহ এমসি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের জন্য ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে এই ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।