অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ বা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া বেসরকারি স্কুল-কলেজের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তাঁদের প্রতিনিধিরা।
উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউএনও বা তাঁর প্রতিনিধি এবং জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ডিসি বা তাঁর প্রতিনিধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির সভাপতির দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো।
জানতে চাইলে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আজ রোববার বেেেযেসব অ্যাডহক কমিটি এখনো বহাল আছে, তারা নিজেদের কাজ করবে। আর যেসব অ্যাডহক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বা হবে, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন কাজ সারতে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিল সই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বা তাঁদের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অস্থায়ী বা অ্যাডহক কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর বাতিল হবে জানিয়ে সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, যা ৩০ অক্টোবর তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ সংশোধন অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
সংশোধিত প্রবিধানমালায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে নবম গ্রেডের নিচের নয়—এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়—এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, এমবিবিএস বা প্রকৌশল বা কৃষিসহ যেকোনো কারিগরি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিসহ নবম গ্রেডের নিচে না—এমন কর্মকর্তা বা পঞ্চম গ্রেডের নিচে না—এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর বিধান সংযোজন করা হয়।
আগের বিধিমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়ন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কমিটির অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচনের বিধান থাকলেও প্রবিধানমালার সংশোধনে এই দুই পদেই শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়নের বিধান করা হয়।
ওই সংশোধিত প্রবিধানমালা ও নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মোকলেসুর রহমান আবির।
গেল ২২ অক্টোবর শুনানি নিয়ে প্রবিধানমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধনের আলোকে সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি দুই মাসের জন্য স্থগিত করার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে জানান আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও মোকছেদুর রহমান আবেের