মাত্র ৭ মাসে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। এর মধ্যে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা এই ইউনিট সীমিত জনবল ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কার্যক্রমের প্রথম সাত মাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এনবিআর জানায়, সংশ্লিষ্ট ৬৩ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, করদাতাদের স্বেচ্ছায় সঠিক কর প্রদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট। যেকোনো ধরনের কর ফাঁকি ও বেনামি সম্পদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই ইউনিটের কার্যক্রম শুধু রাজস্ব পুনরুদ্ধারেই সীমিত নয়; বরং এটি কর সংস্কৃতি গড়ে তোলার পাশাপাশি করদাতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এনবিআর মনে করে, ন্যায়সংগত করব্যবস্থা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট ভবিষ্যতে দেশের রাজস্ব কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।
গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা ও শুল্ক–কর ফাঁকি উদ্ঘাটনের জন্য আয়করের পাশাপাশি ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগে আলাদা ইউনিট আছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) নামে আলাদা স্বতন্ত্র ইউনিটও আছে এনবিআরে।