রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
সভাপতি নাছির, সম্পাদক রানা - বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট’র কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন টেস্ট বাণিজ্য - নানান অনিয়মেই চলছে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতাল! বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান আওয়ামী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নগরীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্যকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম চৌহাট্টায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেল আরোহী রহস্য ফাঁস করলেন শিল্পা স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইন্টারপোলে আবেদন - হাসিনা, কাদের, বেনজীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির চিঠি
advertisement
অর্থ-বাণিজ্য

প্রশ্নের মুখে ডিজিটাল ব্যাংকের ভবিষ্যৎ

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে মোবাইল, অ্যাপ কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে, যেখানে থাকবে ২৪ ঘণ্টা সেবা, ভার্চুয়াল কার্ড এবং কিউআর কোডের মতো সুবিধা। সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতির সূচনা করা।

এই উদ্যোগের আওতায় মোট ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন জমা দেয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) প্রদান করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নগদ চূড়ান্ত সনদ লাভ করে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নগদের কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং অন্য আবেদনকারীদের কার্যক্রমও আটকে রয়েছে, যা সরকারের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।


নগদের জন্য প্রস্তুতির অভাব

নগদ একটি সফল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কিছু শর্ত পূরণের জন্য নগদকে একাধিক সময়সীমা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তা পূরণ সম্ভব হয়নি। এর ফলে সনদপ্রাপ্ত নগদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নগদ এখনো কার্যক্রম শুরুর জন্য সঠিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং এর নির্দিষ্ট সময়সীমাও জানা সম্ভব না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সনদ পেয়ে ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত একটি দল কাজ করছে এবং বর্তমানে আমি মূলত এমএফএস দেখছি।’

অন্যান্য ব্যাংকের ভবিষ্যৎ

নগদ ছাড়া, অন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জন্যও সনদ পাওয়া এখন অনিশ্চিত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যাংকগুলোর সনদ প্রদান করা হবে, কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য ব্যাংকগুলোর সনদ পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির (নগদ) পরিচালনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা

বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এই শর্তগুলোর মধ্যে ছিল—ব্যাংকগুলোকে ১২৫ কোটি টাকার মূলধন জমা রাখতে হবে, ব্যাংকের সেবা প্রদানে শাখা বা শাখা-উপশাখা না রেখে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে, সেবাগ্রহীতা ২৪ ঘণ্টা মোবাইল, অ্যাপ বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং বিশেষ করে কোনো প্লাস্টিক কার্ড বা সশরীর লেনদেনের সুযোগ থাকবে না। এভাবে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ডিজিটাল কার্ড, কিউআর কোড বা অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।

এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ব্যাংকিং খাতে। তবে এসব শর্তগুলো পূরণে নগদসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাব দেখা গেছে, যা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সফল বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সনদ প্রদানের অপেক্ষা

বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ডিজিটেন, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট অল, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে এসব ডিজিটাল ব্যাংক প্রস্তুতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়নি এবং পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সনদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে; কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করতে পারছে না, কখন পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সনদ প্রদান করা হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সরকারের পরিকল্পনা ছিল ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক ঋণের ব্যবস্থা তৈরি করা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সফল হওয়ার পথে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে প্রস্তুতির অভাব, অন্যদিকে সঠিক শর্ত পূরণের সমস্যা—এসব কারণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা দেশের আর্থিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এই সম্পর্কিত আরো

সভাপতি নাছির, সম্পাদক রানা বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট’র কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

টেস্ট বাণিজ্য নানান অনিয়মেই চলছে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতাল!

বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান

আওয়ামী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নগরীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্যকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

চৌহাট্টায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেল আরোহী

রহস্য ফাঁস করলেন শিল্পা

স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ

ইন্টারপোলে আবেদন হাসিনা, কাদের, বেনজীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির চিঠি