স্বর্ণের দাম তরতরিয়ে বাড়ছে। আন্তর্জাতিকভাবে এবং দেশের বাজারে এখন প্রায় রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে মূল্যবান এই ধাতু। তাই অনেকেই স্বর্ণে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন। কখন এই মূল্যবাদ ধাতুতে বিনিয়োগ করলে সেরা রিটার্ন পাওয়া যাবে, তা বিশ্লেষণ করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে এই মূল্যবান ধাতুটির দাম রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি অবস্থান করছে। খুচরা বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিশ্লেষকদের পরামর্শ, তারা যেন এখন নগদ অর্থ ধরে রাখেন এবং দাম কমলে তখন বিনিয়োগ করেন।
পেপারস্টোনের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, ‘এখন সবাই স্বর্ণে উচ্চ পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে, এই অবস্থায় স্বর্ণের দামের আরও বৃদ্ধি বা পতনের সম্ভাবনা কী? বর্তমানে অনেক বিনিয়োগকারী আছেন যারা সামান্য দাম কমলেও স্বর্ণ কিনতে চান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যদি ৫ থেকে ১০ শতাংশের মতো দরপতন ঘটে, তবে পরবর্তীতে দাম ফের বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
স্বর্ণের দাম কেন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে–তা ব্যাখ্যা করে ওয়েস্টন বলেন, স্বর্ণের এই উত্থানের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হলো চীন ও অন্যান্য উদীয়মান বাজারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিক স্বর্ণ ক্রয়।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কয়েক বছর আগেও রিজার্ভের প্রায় ১৫ শতাংশ স্বর্ণে রাখত, এখন তা বেড়ে প্রায় ২২-২৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।’
তিনি খুচরা বিনিয়োগকারীদের পজিশন সাইজিং বা বিনিয়োগের পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
ট্রেজ-এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আফশিন সেতুদেহ বলেন, গত ১৮ মাসে বাজার পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিল। তবে আত্মতুষ্টির বিষয়ে সতর্ক করে তিনি যোগ করেন, ‘আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। মাঝেমধ্যে একশ-দেড়শ ডলার দাম বাড়ে-কমে, কিন্তু আপনি এমনটা দেখলেই বিনিয়োগে ঝাঁপাবেন না। আপনি এখানে কৌশলগতভাবে লেনদেন করতে এসেছেন। বাজার থেকে শিখুন, সেই শিক্ষা প্রয়োগ করুন এবং বাজারে টিকে থাকুন। দ্বিধা করবেন না, তবে হঠাৎ করেও পদক্ষেপ নেবেন না।’
খালিজ টাইমস অবলম্বনে